বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার রাতে সিআইডির মিডিয়া সেলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিসানুল হক জিসান বলেন, একজন উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় সম্রাটের অন্যতম সহযোগী এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে। তার মাধ্যমেই সম্রাট টাকাগুলো পাচার করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সিআইডি মামলার তদন্ত করবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সম্রাট ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাই এবং হংকংয়ে একবার করে ভ্রমণ করেন। তার সহযোগী আরমানও একই সময়ে বেশ কয়েকবার এসব দেশে যাতায়াত করেন। যাতায়াতের মাধ্যমেই তারা বিদেশে ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করেছেন। এই টাকা দিয়ে দেশগুলোতে তারা নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যা তদন্তের মাধ্যমে বের করা হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে এলিট ফোর্স র্যাব। ক্যাসিনো তদন্তে নেমে ওই সময় যুবলীগ নেতা সম্রাটে সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে সহযোগী আরমানকেও আটক করা হয়। ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যাব। পরে সম্রাটের কার্যালয় থেকে প্রাণীর চামড়া পাওয়ায় ৬ মাসের সাজা দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা গ্রেপ্তার হলেও অসুস্থতার কারণে সম্রাট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।
Leave a Reply