রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়ার প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাতলা নদীতে গৈয়াতলা গ্রামের বেড়িবাঁধের রিভার সাইটের স্লোপসহ অর্ধেকটা বিলীন হয়ে গেছে পাঁচটি স্পটে।
তিন ভেন্টের স্লুইসের উইং ওয়ালসহ ব্লক নেই। বিধ্বস্তদশায় রয়েছে। নতুন নতুন স্পটে বাঁধে ভাঙ্গন ধরেছে। এভাবেই সোনাতলা নদীর ভাঙ্গনে পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৬ নম্বর পোল্ডারের এই বাঁধ ঘেষা বাসীন্দারা প্রতি রাতেই বিধ্বস্তদশার বাঁধটি দেখতে যায়। রাতে ঘুমুতে পারেন না। সবজির ঘাটি খ্যাত নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এই বেড়িবাঁধটি রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ না নিলে দেড় হাজার সবজি চাষীসহ হাজার হাজার কৃষক পরিবার জমিজমার ফলন হারানোর শঙ্কায় পড়বে। ভেসে যাবে গোটা এলাকা। আর এর প্রভাবে কলাপাড়া উপজেলায় সবজির আবাদে বিপর্যয় দেখা দেয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বাঁধ ঘেষা কান্ট্রি সাইটের বাসীন্দা আনোয়ার মুন্সী, হানিফ হাওলাদারসহ শতাধিক পরিবার প্রতিনিয়ত দুর্ভাবনায় থাকেন বাঁধের বিধ্বস্ত দশার কারণে। এই বুঝি সম্পুর্ণ বেড়িবাঁধ ধসে গেল; এমন আতঙ্ক সবার মধ্যে। ওই গ্রামের বাসীন্দা সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির মাহমুদ জানান, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে জিও ব্যাগের প্রোটেকশন দেয়া হয়েছিল। পুরনো বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেলে বিকল্প বেড়িবাঁধ করা হয়।
তাও এখন ভেঙ্গে গেছে। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা সোনাতলা নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। একমাত্র তিন ভেন্টের স্লুইসটির রিভার সাইট অন্তত ২০ ফুট নদী গিলে খেয়েছে। কান্ট্রি সাইটের ভেন্টের উপরের মাটি দেবে গর্ত হয়ে গেছে। এখন জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে কিংবা যে কোনভাবে বেড়িবাঁধ রক্ষায় প্রটেকশন দেয়ার দাবি জানালেন তিনি।
ওখানকার কৃষকরা আরও জানান, এই বাঁধ ছুটে গেলে পুর্ব গৈয়াতলাসহ আশপাশের ১০-১২ গ্রামের ফসলহানি ঘটবে। তাই বাঁধ রক্ষায় এই সিজনেই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। তানাহলে আমনসহ সবজি চাষে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, ৪৬ পোল্ডারের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য আগেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
Leave a Reply