সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ সিরিয়ায় গত দুই দিনে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী ও আসাদপন্থী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক। এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে আলাউইতদের লক্ষ্য করে, যা একেবারে ভয়াবহ। সিরিয়ার ব্রিটিশ-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন “সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস” (এসওএইচআর) জানিয়েছে যে, গত শুক্রবার এবং শনিবার ৩০টি বড় আক্রমণের মধ্যে প্রায় ৭৪৫ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া, এ সহিংসতায় ১২৫ জন সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৪৮ জন আসাদপন্থী যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও একজন চমকপ্রদ তথ্য হলো, শত শত মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, যার ফলে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের মাঝে এক বিশাল উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
আলাউইত সম্প্রদায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং তার শাসন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বর্তমান পরিস্থিতি, যেখানে আসাদপন্থী বাহিনী এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ লড়াই চলছে, তা সিরিয়ার জন্য একটি নতুন বিপদ এবং সংকট সৃষ্টি করেছে। এসওএইচআর-এর মতে, এই সহিংসতার মাত্রা এতটাই গুরুতর যে, গত ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের উৎখাত হওয়ার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
যেহেতু লাতাকিয়া ও তারতুস প্রদেশের উপকূলে সংঘর্ষ চলছে, অনেক সরকারি সেনা এবং বন্দুকধারী মারা গেছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আসাদের অনুগত ছিলেন। এই অঞ্চলটি আসাদের শাসনের কেন্দ্রস্থল হওয়ায়, এর ওপর এই সহিংসতার প্রভাব বৃহত্তর সামরিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে।
এই সহিংসতা সিরিয়ার জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে, যেখানে জনগণের নিরাপত্তা আরও বেশি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সিরীয় নাগরিকরা তাদের জীবন রক্ষার্থে এখন বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে এই হিংসাত্মক পরিস্থিতির অবসান ঘটে এবং মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।
Leave a Reply