সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ গত তিন দিন ধরে প্রবল ভারি বর্ষণ ও পূর্নিমার জো’র প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগর। এ কারনে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে কুয়াকাটার মূল সৈকতসহ সৈকত ঘেষা বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রতিটি জোয়ারের জলোচ্ছাসেই সৈকতের জিড়ো পয়েন্টের এসব স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। হুমকিতে পড়েছে সৈকত ঘেষা বনাঞ্চলসহ মূল সৈকত।
সাগরের ভাঙ্গন থেকে মূল সৈকত রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রক্ষার উদ্যোগ নেয়া হলেও গত ইয়াসের তান্ডবে সেগুলো লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় এখন জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বালুক্ষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে সৈকত। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার পূর্ব সৈকত ঝাউবাগান এলাকা ও পশ্চিম সৈকতের লেম্বুরবন এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। করোনার কারনে লকডাউনে কুয়াকাটা পর্যটন ম্পট বন্ধ থাকায় সৈকতের বর্তমান বেহালদশা সৃষ্টি হয়েছে অতিবৃষ্টি ও সাগরের জলোচ্ছাসের ভাঙ্গনে।
মঙ্গল ও বুধবারের টানা ভারি বৃষ্টিতে কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়নের অন্তত দশ হাজার একর জমি দেড় থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এ কারনে আমন ফষল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কৃষকরা। এভাবে আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকলে আমনের রোপন করা বীজ নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে কলাপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় মাছের ঘের ও বসত ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ ও খাপড়াভাঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল তলিয়ে রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে বেড়িবাঁধের বাইরের শতশত পরিবার।টিয়াখালী ইউনিয়নের ফরিদ আহমেদ এগ্রো এর চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আকন জানান,প্রজেক্টের মাছের ঘের টানা বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মাছ অনত্র ভেষে গিয়েছে।
কলাপাড়ার খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কলাপাড়ায় ২৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, করোনায় কর্মহীন ও পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সহায়তার জন্য উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে ছয় লাখ টাকা স্থানীয় চেয়ারম্যানদের কাছে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply