মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিক ও নির্মাতাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচারের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য গৌরবগাঁথা ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে প্রয়াত সাংবাদিক বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, দেশবরেণ্য খ্যাতনামা সাংবাদিক ও ‘দৈনিক সংবাদ’ সম্পাদক প্রয়াত বজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত থেকে আমৃত্যু গণমাধ্যমের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে দেশের গণমাধ্যমসমূহ যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, তারই স্বীকৃতিস্বরূপ পরিশ্রমী, সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও নির্মাতাদের বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর—যা সত্যিই অনন্য।
স্পিকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক বজলুর রহমান আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন একজন অগ্রসৈনিক। তিনি ছিলেন সৎ, নির্ভীক এবং দৃঢ়চেতা সাংবাদিক। ইতিহাস, সাহিত্য ও দর্শন সকল ক্ষেত্রেই তাঁর ছিল সরব পদচারণা। শোষণমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে কাজ করে গেছেন সংস্কৃতিমনা সাংবাদিক বজলুর রহমান। তাঁর কর্মদক্ষতা ও স্বদেশপ্রেম সাংবাদিকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করেছে অনন্য উচ্চতায়।তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এবং গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে তাঁর লেখনী চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল, সৎ ও যোগ্য সাংবাদিক তৈরিতে বজলুর রহমানের আদর্শ সাংবাদিক সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দীকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্পিকারের কাছ থেকে কালের কণ্ঠের যশোর প্রতিনিধি ফখরে আলম প্রিন্ট মিডিয়ায় এবং একাত্তর টিভির সাংবাদিক শিল্পী মহলা নবিশ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ পদক গ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি রবিউল হোসাইন।
Leave a Reply