শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:মিসেস রোকেয়া বেগম, ঢাকার ওয়ারি এলাকার বাসিন্দা, গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানায়। ওয়ারি থানার সামনে শুধু কান্না করছেন তিনি, আর তার বড় পূত্র কামরুল হোসেনের হত্যার বিচার চাইছেন সবার কাছে। (রিপোর্টার) আমি জানতে চাইলাম কি হয়েছে তার বড় ছেলের? অশ্রুসিক্ত কন্ঠে রোকেয়া বেগম জানান, তার পূত্র হারানোর কথা। তিনি জানান, ভালোই কাটছিল তাদের সংসার।
বড় ছেলে কামরুল হোসেন, মেঝো ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং ছোট ছেলে দোলোয়ার হোসেন সহ সবাই থাকতেন ঢাকার ওয়ারিতে।
তাদের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছিলো ঢাকার নবাব পুর রোডে যার নাম ছিল দেলোয়ার ইলেক্ট্রিক। রোকেয়া বেগম জানান, তার ছেলেরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি’র) সমর্থন এবং বড় ছেলে কামরুল হোসেন স্থানীয় বিএনপির এক সময়ের নেতা ছিলেন। তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, নির্যাতন এবং হুমকি ধামকি দেওয়া হয়।
হঠাৎ একদিন (৫ মার্চ ২০১৮) তার বড় ছেলে কামরুল হোসেন নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে শীতালক্ষা নদীর পাড়ে কামরুলের মরদেহ পায়। একথা বলার সময় যেন রোকেয়া বেগম বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তিনি ওয়ারি থানার সামনে কান্না জড়িত কন্ঠে আবেদন জানান, কেন হত্যা করা হয়েছে তার ছেলেকে? তিনি তার বিচার চান।
অন্য ছেলেদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সব শেষ। আমার বাকি দুই ছেলেও পলাতক। ওদেরকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে একবার ৬ মাস জেল খাটিয়েছে। তার পর তাদেরকে আরও একটি মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তারা এখন কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার দুই ছেলে পলাতক। (আর কিছুই বলতে চাইলেন না তিনি)। তিনি বলেন, আমার ছেলেরা নির্দোষ, আমি আমার বড় ছেলে কামরুল হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে ওয়ারি থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply