শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :বরিশাল নগরের ১০ নং ওয়ার্ড কোস্টাল বরফ কল এলাকা থেকে ইয়াবাসহ জাকির নামে একজনকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-৮। গতকাল দুপুরে কীর্তনখোলা লাগোয়া মাহফুজার চা দোকান থেকে তার স্বামীকে আটক করা হয়। তবে র্যাবের অভিযানের পরপরই যিনি ‘ইয়াবা দিয়ে জাকিরকে ফাঁসিয়েছে’ তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। জনতার হাতে আটক র্যাবের সোর্স হিসেবে পরিচিত নাসিরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে মর্মে স্বীকার করেছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আসাদুজ্জামান। স্থানীয়রা দাবী করেছেন, পরিকল্পিতভাবে জাকিরকে ফাঁসিয়েছে নাসির। জানা গেছে, এক র্যাব সদস্যর সোর্স হিসেবে কাজ করেন ইয়াবাসেবী নাসিরের ভাগ্নী লিপি।
কয়েকদিন পূর্বে নাসিরের সাথে জাকিরের মনোমালিন্য হয়। সেকারনেই জাকিরকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে বলে দাবী প্রতক্ষ্যদর্শীদের। ওদিকে র্যাবের হাতে আটক জাকিরও একজন চিহ্নিত মাদকসেবী। জাকিরের স্ত্রী মাহফুজা বলেন, ‘স্থানীয় জসিম ও নাসির দোকানে ঢুকে চা পান করে এবং হলিউড সিগারেট খায়। তখন একটি সিগারেটের প্যাকেট জাকির তার পাশেই রাখে। এরপর সে কাউকে মোবাইল করেন। তার কয়েক মিনিটের মাথায় র্যাব দোকান ঘিরে ফেলে। র্যাবের উপস্থিতি দেখে জসিম ও নাসির চলে যায়। শেষে র্যাব দোকান তল্লাশী করে নাসিরের রেখে যাওয়া সিগারেটের প্যাকেট নাকি ইয়াবা পেয়েছে মর্মে আমার স্বামীকে নিয়ে যায়।’
আভিযানিক দলের সাথে ছিলেন মর্মে র্যাব-৮ এর কোম্পনী কমান্ডার মেজর সোহেল রানা প্রিন্স জানান, গোপন সংবাদে র্যাব সেখানে উপস্থিত হয়। তখন স্থানীয়রা জাকিরকে আটক করে আমাদের হাতে দেয়। র্যাবের প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাকির হোসেনকে ৪৯ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা জাকিরের ফুলহাতা শার্টের বুক পকেটে রাখা ছিল। এ ঘটনায় সিপিএসসি’র ডিএডি লুৎফর রহমান বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যারা দেখেছেন তাদের কথা অনুযায়ী নাসিরকে উত্তেজিত জনতা আটক করে কোতয়ালী থানায় জানালে থানা পুলিশ এসে নাসিরকে নিয়ে যায়। জনতার হাতে আটক নাসিরের ভাগ্নী লিপি জানান, আমি র্যাবের ‘জিয়া স্যারের’ সাথে এইমাত্র কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, আমার মামা নাসির নির্দোষ। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চাইলে আপনারাও কথা বলতে পারেন। লিপি জানান, তিনি কলেজে পড়েন।
‘তিনি র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করছেন’ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এমন প্রশ্ন করা হলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। ওদিকে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান বলেন, জনতা আটক করে একজনকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছে। স্থানীয়রা দাবী করেছে আটককৃত নাসির ইয়াবা দিয়ে আরেকজনকে ফাঁসিয়েছে। এ বিষয়ের অধিকতর তদন্তের জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিবেদন দিলেই জনতার হাতে আটক নাসিরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
Leave a Reply