সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রকোপে উপকূলের নদ-নদীর পানিতে ১৫টি গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় তলিয়েছে বসত ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে গেলেও রেখে গেছে ক্ষত চিহ্ন। তাইতো প্রতিদিন ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চালিতাবুনিয়া, ছোটবাইশদিয়া, রাঙ্গাবালী, চরমোন্তাজ, বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়নে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়ে ওইসব গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়। ফলে জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের দাবি যেসকল বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক আগ থেকে যেসকল বাঁধ ভাঙা তা দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।
তারা বলছেন, ‘ত্রাণ চাই না, বাঁধ (বেড়িবাঁধ) চাই।’ উপজেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, ইয়াসের তাণ্ডবে সাড়ে ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চিনাবুনিয়া ও চরলতার বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। ওই বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যার ফলে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেলে প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ি।’
চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, ‘নয়ারচর ও চরবেষ্টিনের ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকেছে। আর আন্ডারচরের ভাঙা বাঁধ সংস্কার না করায় সেই চরেও জোয়ারের পানি হানা পড়ছে।’
ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কোড়ালিয়ার ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পুরো গ্রাম ক্ষতির মুখে।’ ইউপি চেয়ারম্যানদের দাবি, ভাঙা বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে ১৫টি গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।’
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মুহিব বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছি। শিগগিরই ভাঙা বাঁধ মেরামত ও বিধ্বস্ত বাঁধ পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দেন তিনি।
Leave a Reply