যে কারনে বিসিসির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী চূড়ান্ত বরখাস্ত Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




যে কারনে বিসিসির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী চূড়ান্ত বরখাস্ত

যে কারনে বিসিসির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী চূড়ান্ত বরখাস্ত

যে কারনে বিসিসির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী চূড়ান্ত বরখাস্তঅনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে চাকরি হারালেন বিসিসির ৪ কর্মকর্তা




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কাছে বরখাস্তের চিঠি পৌঁছে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

 

 

তবে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেন। জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত কিছু বলেননি।

 

 

 

তিনি জানান, এ বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে গণমাধ্যমকে জানাবো। তার আগে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।

 

 

চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা হলেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মতিন, নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কমল ও জহিরুল ইসলাম, চিফ অ্যাসেসর মো: আজম, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: রোমেল, হিসাবরক্ষক মো: মাইনুদ্দিন, সম্পত্তি শাখার অ্যাস্টেট অফিসার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, আইন সহকারী রফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী আব্দুস সালাম ও হায়তুল ইসলাম।

 

 

বরখাস্ত হওয়া এই ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের চিঠিতে বরখাস্তের কারণ উল্লেখ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন চাকরিচ্যুতরা।

 

 

চাকরিচ্যুত হওয়া বিসিসির পানি শাখার হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের একজন লোক বাসায় এসে বরখাস্তের চিঠি দিয়ে গেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে তিন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা আমি পাইনি। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের কাছে ১৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।

 

 

বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

 

 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে তারা ওএসডি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চতুর্থ পরিষদের নবম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মাসের বেতন পরিশোধপূর্বক ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

এর আগে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগে বিসিসির প্রধান বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো: মশিউর রহমানকে উৎকোচ গ্রহণ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ঠিকাদারকে বিল প্রদান, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট আজিজ শাহীনকে নামে বেনামে স্বজনদের বিপরীতে করপোরেশনের স্টল বরাদ্দ দেয়া, একই অভিযোগে বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বিসিসির রাস্তা খুঁড়তে সহায়তা করায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

 

 

এনিয়ে গত দুই বছরে দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে চাকরি হারালেন ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD