রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকায় মেয়ের প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে রশি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়েছেন প্রেমিকার বাবা। এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ মার্চ) মেয়ের বাবা স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার ( ১১ মার্চ) রাতে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের খেদাবাগ গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে আবুল কালাম সনেটের (২৩) সঙ্গে একই গ্রামের কুরআনটারীর জনৈক স্কুল শিক্ষকের ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী মেয়ের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।
কিছুদিন আগে মেয়েটি বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। কিশোরীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় এবং আইনি বাধা থাকলেও ছেলের পরিবার বিষয়টি মেনে নিয়েছে। গত বুধবার রাতে প্রেমিকার বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছানো মাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মেয়ের বাবা স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান (৪৫), ছামিউল হক (২৩), সিদ্দিক হোসেন, কাফি মিয়া ও মন্টু মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন প্রেমিককে ডেকে নিয়ে বসত বাড়ির সিঁড়ির সাথে বেঁধে বাঁশের লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বর্বর নির্যাতন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে প্রেমিক সনেটকে। এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রের মা সাঞ্জুমা বেগম।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রের মা সাঞ্জুমা বেগম বলেন, ‘সনেটের সাথে কিশোরী মেয়েটির প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে কিছুদিন আগে ওই কিশোরী বিয়ের দাবি নিয়ে বাড়িতে এসে ওঠে। আমরা এই সম্পর্ক মেনে নেই। তবে সনেট এখনো অধ্যায়নরত ছাত্র ও মেয়েটির অপ্রাপ্তবয়স্ক। সে কারণে এই প্রেমের পরিণতি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। আইনে মেয়ের বিয়ের বয়স এখনো হয়নি। তাই মেয়েকে ও তার পরিবারকে বুঝিয়ে গ্রামের মুরুব্বিগণ বিয়ের দাবি নিয়ে আসা কিশোরীকে অভিভাবকদের কাছে সোপর্দ করি। ছেলের দোষত্রুটি থাকলে অভিভাবক থানা পুলিশ, আইন আদালতে যেতে পারত। নির্মমভাবে পৈশাচিক নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। এই নিষ্ঠুর আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
লালমনিরহাট সদর থানার ভার্রপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। নির্যাতনের শিকার যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা পর পরেই অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a Reply