বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি যুবরাজ-৭ ও বালুবাহী বাল্কহেড এমভি সিয়ামের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনায় বাল্কহেডটি ডুবে গেছে এবং লঞ্চটির তলায় ফাটল দেখা দিয়েছে। পরবর্তীতে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চে থাকা ৩শ’র মতো যাত্রীকে এমভি আওলাদ-৪ নামক লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।লঞ্চের স্টাফ ও যাত্রীরা জানান, এমভি যুবরাজ-৭ পটুয়াখালী থেকে ৩শ’ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে রওয়ানা দেয়।
মাঝপথে বরিশালের হিজলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এসে ঝড়ের কবলে পরে। এসময় অন্য একটি লঞ্চের সাথে এমভি যুবরাজ-৭ লঞ্চটিকেও নদী তীরে বেধে রাখা হয়। পরে ঝড় শেষ হলেও ভাটার কারণে লঞ্চটি চরে আটকে যায়। সকালে লঞ্চটি অন্য লঞ্চের সহায়তায় চর থেকে নামিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
কিছুদূর এগিয়ে হিজলার মিয়ারচর সংলগ্ন মৌলুভীরহাট নামক এলাকায় পৌঁছালে এমভি সিয়াম নামে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষ হয় লঞ্চটির। এতে লঞ্চের তলা ফেটে গেলে তাৎক্ষণিক সেটিকে নদী তীরে নোঙ্গর করা হয়।
এমভি যুবরাজ-৭ এর মাস্টার সিরাজ বলেন, উল্টোপাশ থেকে বাল্কহেডটি এসে লঞ্চের তলায় সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীরা কেউ হতাহত না হলেও লঞ্চটির তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে।
তিনি বলেন, পরে লঞ্চটিকে নদী তীরে নোঙ্গর করে যাত্রীদের এমভি আওলাদ-৪ নামক অপর লঞ্চে তুলে দেয়া হয়েছে। এখন লঞ্চটিকে কোনভাবে মেরামত করা হচ্ছে, যাতে ঢাকায় নিয়ে পুরোপুরি মেরামত সম্ভব হয়।
এদিকে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়ে নৌ-পুলিশের হিজলা ফাঁড়ির পরিদর্শক শেখ মোঃ বেল্লাল হোসেন জানান, বাল্কহেডের ৮ জন লোক ছিল। বাল্কহেডটি ডুবে গেলেও তাদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
অপরদিকে লঞ্চের যাত্রীরাও নিরাপদে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক ও বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু।
তবে বাল্কহেডটি নিমজ্জিত অবস্থা থেকে উত্তোলন না করা গেলে ওই চ্যানেলে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে ধারণা লঞ্চ মাস্টার-চালকদের।
Leave a Reply