মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে ইজারাদারদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাচ্ছে হিজলা-মুলাদী ও মেহেন্দীগঞ্জের কয়েক লাখ মানুষ। গত তিন বছর ধরে বাবুগঞ্জ উপজেলার একটি প্রভাবশালী মহল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দখলে রেখেছিলো জনগুরুত্বপূর্ণ এ ঘাটটি। সেই সিন্ডিকেট ভেঙে এবার নতুন ইজারাদার পাচ্ছেন মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের নতুন ডাক। এর ফলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আয় বাড়ছে সরকারের রাজস্ব খাতেও।
এদিকে সিন্ডিকেট ভেঙে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাবুগঞ্জের ক্ষমতাসিন দলের নাম ব্যবহার করা সন্ত্রাসীরা। ইজারা না পেয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) তারা বরিশাল জেলা পরিষদ কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
বরিশাল জেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ৩ বছর ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাবুগঞ্জ-মুলাদী উপজেলার মধ্যবর্তী মীরগঞ্জ ফেরীঘাটের ইজারা দখল করে রাখা হয়। ইজারাদাররা যেমন খুশি তেমন করে যাত্রীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলো। চলতি বাংলা বর্ষেও একই সিন্ডিকেট ঘাটের ইজারা বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সিন্ডিকেট ভেঙে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আলমগীর হোসেন নামের ব্যক্তি পাচ্ছেন ওই ঘাটের ইজারা।
অবশ্য আলমগীর হোসেনকে কৌশলগত ভাবে ইজারা পায়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইজারা বঞ্চিত সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের হোতা মাইনুল হোসেন দাবী করেছেন এর আগে ৬ষ্ঠ বার ইজারা আহ্বান করা হয়। ওইসব সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হন মাইনুল। কিন্তু তাকে ইজারা না দিয়ে ৭ম বার ইজারা আহ্বান করা হয়। সপ্তম দফায় আলমগীর হোসেন নামের ব্যক্তিকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে ইজারা পায়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মাইনুল হোসেনের। তাই ৮ম বারের জন্য ইজারা আহ্বানের দাবী জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
তবে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মইদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ তিন বছর ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একটি গ্রুপ মীরগঞ্জ ফেরীঘাট জিম্মি করে ছিলো। এবারের নতুন ইজারা চুক্তিতে জেলা পরিষদ থেকে ঘাটটির সম্ভাব্য মূল্য এক কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়।
কিন্তু চলতি বছরের ইজারার ৬ম আহ্বানে একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে মাইনুল ইসলাম ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দর প্রদান করে। এজন্য সপ্তমবারের মত দরপত্র আহ্বান করা হলে মাইনুল ইসলাম ৬৬ লাখ টাকা পদর দেয়। কিন্তু তার বিপরিতে মুলাদীর আলমগীর হোসেন নামের ব্যক্তি ৭৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দর দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হন। যা পূর্বের দরদাতার থেকে প্রায় ৮ লাখাধীক টাকা বেশি।
পুনঃ আবেদনের দরপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম বলেন, দরপত্র নোটিশ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। তার পরেও আবেদনের বিষয়টি আইনে থাকলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply