বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি॥ ঘূর্ণিঝড় আম্পান, বর্ষা ও ভারি বর্ষণে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে মির্জগঞ্জের কাঁচ-পাকা সড়ক-উপসড়ক। গ্রামীণ জনপদের দুর্বল সড়কের ইট ও মাটি সরে গেছে। অনেক স্থানে ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে বেড়েছ জনদুর্ভোগ। তবে মির্জাগঞ্জ এলজিইডি বিভাগ গ্রামীণ জনপদের সড়কগুলো সংস্কারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৯৫০ কি.মি. স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাঁচাপাকা সড়ক আছে। এর মাঝে পাকা সড়ক আছে ১৮০ কি.মি.। গেল ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় গ্রামীণ জনপদে ১৫ কি.মি.সহ মোট ৩৫ কি.মি. কাঁচাপাকা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। উপজেলা সদরের সুবিদখালী বাজার সড়ক, মির্জাগঞ্জ, মাধবখালী, কাকড়াবুনিয়া ভয়াংসহ সর্বত্র গ্রামীণ জনপদের এমন চিত্র দেখা গেছে।
গ্রামীণ জনপদে চলছে আমন ধান কাটা। শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজি চাষ। এ জন্য ব্যাপক ব্যবহার হবে গ্রামীণ সড়কগুলো।
মির্জাগঞ্জে ব্যাপক ব্যবহৃত একটি সড়ক বরিশাল-মির্জাগঞ্জ-বরগুনা মহাসড়কের সুবিদখালীর তিন রাস্তার মোড় থেকে সুবিদখালী বাজারসংলগ্ন ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার ও সুবিদখালী বাজার সড়ক। প্রচুর বৃষ্টিপাতে এই সড়কে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে সড়ক দু’টি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ছোট-বড় গর্ত ও প্রচুর খানাখন্দের ফলে এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস, অটোবাইক, পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় গাড়ি চালকের অনেকেই জানান, সড়ক দু’টি অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গাড়ি চালানোর সময় বুক থরথর করে কেঁপে ওঠে ও যাত্রীদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি হয়। দ্রুত রাস্ত দু’টির মেরামতের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ হাওলাদার বলেন, সম্প্রতি মহাসড়ক ও বাজার সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করছে। দ্রুত সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
মির্জাগঞ্জের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আজিম-উর-রশিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, গেল বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টিপাতে জনপদের ১৫ কি.মি. কাঁচাপাকা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে সব সংস্কারের কাজ চলছে। অন্য যেসব সড়কের সংস্কার দরকার দ্রুত সময়ে সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply