মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি ট্রলারচালক Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
কারো ভয়বীতি বা প্রলোভনে না পরে যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিন: : এসএম জাকির নির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়ম করলে বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: নির্বাচন কমিশনার তাপদাহ তীব্র: আবারো জারি হতে পারে হিট অ্যালার্ট যেদিন থেকে শুরু হজ ফ্লাইট ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে অনুমতির প্রয়োজন নেই: নির্বাচন কমিশনার বাকেরগঞ্জে বিদ্যুতস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে বিশ্বাসী: বরিশালে ইসি হাবিব হিজলায় যৌথ অভিযানে আটক ১০ জেলে, জরিমানা গৃহবধূর স্যালোয়ারের মধ্যে ইয়াবা, অতঃপর … বরিশালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্য কোন দ্বন্দ্ব নেই: চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির




মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি ট্রলারচালক

মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি ট্রলারচালক

মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি ট্রলারচালক




ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ নাম মিলন খান। পেশায় ট্রলারচালক। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন দেখে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তিনশ যাত্রীকে উদ্ধার করেছেন তিনি। বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের তীরে ও মুমূর্ষুদের হাসপাতালের পথ পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছেন মিলন খান।

 

 

মিলন লঞ্চঘাট বেড়িবাঁধ এলাকার মৃত সরুব আলীর ছেলে। স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ পাঁচজনের সংসার তার। প্রতিদিন ১০ টাকার বিনিময়ে ট্রলারে করে সদরের দিয়াকুল থেকে শহরের লঞ্চঘাটে যাত্রী পারাপার করেন তিনি। তবে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন তিনি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি। ঘটনার দিন রাত তিনটা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত আহত যাত্রীদের পারাপারের কাজ করেছেন তিনি।

 

 

ট্রলারচালক মিলন খান বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে নদীতে যাত্রীদের চিৎকার ও আগুন দেখে ট্রলার নিয়ে রওনা দেই। গিয়ে দেখি আগুন থেকে বাঁচতে যাত্রীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভেসে আছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে যাই। এলাকার লোকজন তাদের আশ্রয় দেন। তাদের অনেকেই দগ্ধ ছিলেন। কারও কারও হাত-পা ভাঙা ছিল। তাদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন ছিল। দিয়াকুল গ্রামের মানুষের সহায়তায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অন্তত ৩০০ যাত্রী পারাপার করে তীরে ও হাসপাতালে পাঠাতে সহায়তা করেছি। আমি কারও কাছ থেকে কোনো ভাড়া নিইনি। টাকাই সব নয়। বিপদে মানুষকে সহায়তা করেছি, এটাও কম নয়।’

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি। তবে আরো মানুষকে বাঁচাতে পারলে মনটা ভালো লাগত।’

 

 

গত ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিবাগত গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে ৩৭ জনের বাড়িই বরগুনায়। ওই ঘটনায় আহত শতাধিক যাত্রী। নিখোঁজ অনেকে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD