শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ১৫০০ বন্দির মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগই মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী। ওইসব মাদকাসক্তসহ সংশ্লিষ্ট বন্দিদের কারাগারে আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়। তাদের সুস্থ জীবনে ফেরাতে কারাগারে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা, মোটিভেশন ও বিনোদনের মাধ্যমে মাদকমুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক জনকণ্ঠকে বলেন, মাদক পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে। তাই মাদকসেবীসহ সংশ্লিষ্টদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে কারাগারে প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অতিসম্প্রতি বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে মাদকবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সমাবেশে মাদক সেবন, বিক্রি ও পরিবহনের সাথে যুক্ত প্রায় পাঁচশ’সহ আট শতাধিক বন্দি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশের প্রধানঅতিথি জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান মাদকসেবীদের সংশোধনের সুযোগ গ্রহণ করতে বলেন। জেলা প্রশাসকের আহবানে সারাদিয়ে ওই সমাবেশে মাদক সংশ্লিষ্ট প্রায় পাঁচশ’ বন্দি মাদক সেবন, বিক্রি ও পরিবহন না করার শপথ গ্রহণ করেছেন।
বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, সমাজসেবা বিভাগের অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে মাদক-সংশ্লিষ্টদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে বরিশাল কারাগারে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে যারা মুক্তি পাওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় তাদের পুনর্বাসন করা হবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি হিসেবে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের টপ ইয়াবা ডিলার গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামের হিরা মাঝি ও তার সহদর মানিক মাঝি এবং আগৈলঝাড়ার জাকাত ফকির। এছাড়াও হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আরেক মাদক ব্যবসায়ী নান্নু মৃধাসহ তাদের অসংখ্য সহযোগিরা বরিশাল কারাগারে হাজতি ও দন্ডপ্রাপ্ত হিসেবে থাকায় অনেকটা স্বত্তি ফিরে এসেছে গোটা বরিশালে।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স যোষণাকারী বরিশাল রেঞ্জের চৌকস ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম বার পিপিএম এর কঠোরতার কারণে এখন অনেকটাই মাদক শুন্য বরিশাল। ওইসব মাদক ডিলাররা আইনের ফাঁক ফোকর পেরিয়ে কারাগার থেকে জামিনে বের হলে পূর্ণরায় মাদকে সয়লাব হওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন বরিশালবাসী।
Leave a Reply