মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সাংবাদিক নির্যাতন, চাকরিচ্যুতি, হয়রানি এবং পেশাগত নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। শনিবার “বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস” উপলক্ষে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি বরং প্রতিনিয়ত তা বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক সূচকে কিছুটা উন্নতি হলেও বাস্তব চিত্রে সাংবাদিকরা এখনও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিক নির্যাতনের কোনো ঘটনার বিচার হয়নি, বরং অপরাধীরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। একই সাথে পেশাগত জীবনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, চাকরি এবং আয়-রোজগার আজ চরম অনিশ্চয়তার মুখে।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এবং ডেইলি স্টারের বরিশাল প্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিকদের নামে মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে। একই সাথে বহু সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন এবং অনেক মিডিয়া হাউজে মাসের পর মাস বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।
সাংবাদিকরা বলেন, “স্বাধীন সাংবাদিকতা” এখন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা ও মিডিয়া ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা। তারা অবিলম্বে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানি, নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির দুই সদস্যের উপর কোর্ট চত্বরে সংঘটিত হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, তাদের ক্যামেরা ভাঙচুর, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় এখনো পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, আরটিভির প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী খান জসিম, ইত্তেফাকের ব্যুরো প্রধান শাহিন হাফিজ, চ্যানেল এস এর নজরুল বিশ্বাস, বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি মিথুন সাহা এবং নির্যাতনের শিকার রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম ও ফটো সাংবাদিক এন. আমিন রাসেল। তারা তাদের ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
Leave a Reply