সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নে বাবলু মোল্লার উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে পড়ছেন এলাকাবাসী। ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড চন্দ্রপাড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির মোঃ ওমর মোল্লার বড় ছেলে বাবলু মোল্লা দীর্ঘ দিন যাবত অই এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা বানিজ্য। সম্প্রতি ১০/১৫ বছর পূর্বে ওমর মোল্লা কোনো এক সেনা সদস্যর গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন, এক পর্যায়ে যেকোনো কারনে সেই সেনা সদস্য তাকে চাকরীচ্যুত করে।
এরপর ওমর মোল্লা চন্দ্রপাড়া বাস স্ট্যান্ডে একটি ঔষধ ফার্মেসীর দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে । কিছুদিন ব্যবসা বেশ ভালোই চলছিলো ওমর মোল্লা। কয়েদিন যাওয়ার পরে তিনি তার বড় ছেলে বাবলু (৩১) কে দোকানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন এবং সে তাদের নিজেদের জমিতে কৃষি কাজ শুরু করে। এতেই যেন শুরু হয় তার ব্যবসার দূরগতি। বাংলা একটি প্রবাদ আছে, “ব্যবসায় লালবাতি” ঠিক তেমনি বাবুল তার বাবার গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে লালবাতি জ¦ালানো শুরু করে। বাবলু তার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঔষধের দোকানে বসে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট-সিরাপ সেবন করতে থাকে। দিনে দিনে অই এলাকার যুবকদের কাছে বাবলু হয়ে উঠে অতি-আপনজন বড়ভাই এবং নগদ কিংবা বাকিতেও মিলতো নেশা জাতিয় এসব ট্যাবলেট-সিরাপ।
এরকম ভাবে বহুদিন চলার পথে একপর্যায়ে বাবলু তার বাবার কাছে ধরা পরে যায়। তখন বাবলুর বাবা তাকে দোকান থেকে বের করে দেয়। বিশ্বস্ত এক সূত্র জানায়, বাবলু চন্দ্রপাড়া এলাকায় দিনে দিনে মাদকের বিষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে, এলাকার যুবক থেকে শুরু করে স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও বাদ যাচ্ছেনা বাবলুর হাত থেকে। বাবলুর বিরুদ্ধে শুধু মাদকের অভিযোগই নয় তার বিরুদ্ধে রয়েছে ইভটিজিং সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বাবলু বর্তমানে এলাকার মধ্যে এমন অবস্থা সৃষ্টি করছে যাতে করে আমাদের ছোট ভাই বোনদের নিয়ে আমরা অনেক সমস্যার মধ্যে রয়েছি। একদিকে এলাকার মধ্যে বাবলুর মাদকের কালো হাত অন্যদিকে তার সাথে থাকা তরুণ স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদের দিয়ে ইভটিজিং এর কারনে মা বোনেরা একা একা রাস্তায় বের হতে না পারায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে রয়েছি। এলাকার এক মুসুল্লি জানায়, বাবলু আগে ফার্মেসীতে বসে নেশা জাতিয় ট্যাবলেট বিক্রি করতো কিন্তু ওর বাবা ওকে যখন দোকান থেকে বের করে দেয় তখন বাবলু আবার নতুন ক্যাবল নেটওয়ার্কিং এর ব্যাবসা শুরু করে।
আর এই ব্যাবসার মাধ্যমে বাবলুর মাদক বানিজ্য আরো শক্তিশালীতে রূপান্তরিত হয়। এতদিন যাবত বাবলু ফার্মেসীতে বসে মাদক বানিজ্য চালিয়ে আসলেও বর্তমানে সে লোকালায় বসেই চালিয়ে যাচ্ছে মাদক বানিজ্য। এব্যাপারে বরিশাল এয়াপোর্ট থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে আমরা এয়াপোর্ট থানা মাদক নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যেখানেই মাদকের তথ্য পাই সেখানেই অভিযান চালাই এবং এই অভিযান নিয়মিত চলবে।’ অন্য দিকে , গ্রামের সাধারন মানুষ বাবলুর মাদকের হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা একান্ত কামনা করছি ।
Leave a Reply