বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া॥ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ গ্রামের আকবর আলী বেপারীর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধের মামলায় ২০১৭ সালের কোর্টের দেয়া রায়ের ঊভয় পক্ষকে স্থিথি অবস্থায় থাকার আদেশ দেখিয়ে গাভা গ্রামের মৃত বদেন্দ্র নাথ হালদারের ছেলে ঠাকুর চাঁন হালদার (৫০), জম্বদ্বীপ গ্রামের মৃত পরশ হালদারের ছেলে অমল হালদার (৩৫), পরিতোশ হালদার (৩০), জম্বদ্বীপ গ্রামের সোহরাব হোসেনের সম্পত্তি জবর দখল করার চেষ্টার অভিযোগ এনে তার ছেলে ইফতেখার হোসেন ওই ৩ জনকে বিবাদী করে বানারীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে আকবর আলী বেপারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠাকুর চাঁন ও অমল হালদার যে জমির কাগজ দেখিয়েছে তা সোহরাব হোসেনের সম্পত্তির নয়। ঠাকুর চাঁন গংদের সাথে তাদের মামলা চলাকালীন কোর্টের একটি স্থিথিবস্থা বজায় রাখার আদেশ। পরবর্তীতে তারা (আলী আবকবর বেপারীরা) ওই মামলায় তাদের পক্ষে রায় পান এবং বর্তমানে ভোগ দখলে রয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে রবিবার (২৯ আগস্ট) সরেজমিনে বিরোধীয় সম্পত্তির এলাকায় গেলে দেখা যায় একটি সরকারি খালের পূর্ব প্রান্তে আলী আকবর বেপারীর সম্পত্তি এবং পশ্চিম প্রান্তে ঠাকুর চাঁন গনং ও ইফতেখার গনংদের দাবীদার বিরোধীয় সম্পত্তি।
সরেজমিনে থাকাকালীন উভয় পক্ষের কাছে তাদের সম্পত্তির কাগজপত্র দেখলে চাইলে ঠাকুর চাঁন গংরা আলী আকবর বেপারীর সাথে সম্পত্তি নিয়ে মামলায় হেরে যাওয়া কোর্টের উপরোক্ত আদেশটি ছাড়া অন্য কোন দালিলিকপত্র দেখাতে পারেনি। তবে ইফতেখার গংদের কাগজপত্রে দেখা যায় তারা ক্রয়সূত্রে রেকর্ডিয় মালিক বহাল আছে ওই বিরোধীয় সম্পত্তির। তারপরেও ঠাকুর চাঁন গংরা জোর পূর্বক ওই সম্পত্তিতে প্রবেশ করে চাষাবাদ করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলে বাদী ও একাধিক স্থানীয়রা জানান।
এদিকে স্থানীয় সমীর জানান, সে ইফতেখারদের ওই জমি প্রায় ২০/২৫ বছর পর্যন্ত হালচাষ করছেন। একই কথা বলেন, ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য নূরুল হক কালু, মিজান বেপারী (৪৫), নূর হোসেন মোল্লা (৬০), জরিনা বেগম (৩৫), আকবর হোসেন (৫৮) সহ অনেকে। অপরদিকে ইফতেখার হোসেন জানান, চলতি বছরের ৪ জুন বানারীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তবে কোন প্রকার মিমাংশায় পৌঁছাতে পারেনি তারা। সে আরও জানায়, বর্তমানে বিবাদীরা সংখ্যালঘুর তকমা লাগিয়ে তাদের সম্পত্তিতে জোর পূর্বক প্রকেশ করে চাষাবাদ করার প্রয়াসে (শৃঙ্খলা) ভঙ্গের কার্যাদি সাধিত করতে মরিয়া হয়ে রয়েছে। যাতে বাধা প্রদান করিলে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা রয়ে যায়, যা পরবর্তীতে বিবাদীরা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বলে প্রচার করতে পারে। এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. জাফর আহম্মেদ জানান, উভয় পক্ষকে বিজ্ঞ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে, বিরোধীয় সম্পত্তিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply