শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া॥ বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামের আলামিন আকনের ৩ বছর ১০ মাস বয়সের শিশু সন্তান শাহ জালালের পা পিছলে পায়ের গোড়ালির হাড় ফাক হয়ে যায়।
পরে সোমবার ১২ জুলাই বানারীপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে এক্সরে করতে বলেন। হাসপাতালের এক্সরে বিভাগেই এক্সরে হয় শিশু শাহ জালালের।
তবে সেখানে শিশুটির দিনমজুর পিতাকে গুনতে হয় ২ শত ৫০ টাকা। পরে পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে আসলে বলা হয় ব্যান্ডেজ করতে ৭ শত টাকা লাগবে।
করোনাকালীন এই সর্বাত্মক লকডাউনে কর্মহীন দিনমজুর পিতার পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব না। তাই সে দারস্থ হয় বানারীপাড়ার মিডিয়ার কাছে।
পরে ক্ষুদ্রতম সংবাদকর্মী সুজন মোল্লা ওই শিশুটির পিতার ফোন দিয়ে কথা বলেন জরুরী বিভাগে থাকা এক স্টাফের সাথে। তবে পরিচয় পেয়ে তিনি সাপ্লাই নাই বলে কেটে দিলেন।
এরপরে ঘটনার বিবারণ দিয়ে একটি পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া হয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে। সেই পোষ্ট দেখে বরিশাল পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান শিশুটির চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিনকে খোঁজ-খবর নিতে বলেন।
তাৎক্ষণিক বানারীপাড়া থানা পুলিশ হাসপাতালে এসে অসহায় পিতার কোলে থাকা অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা সেবা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করান।
পরে ব্যবস্থাপত্রে লেখা ঔষধও ডিআইজি মহোদয়ের অর্থে ক্রয় করে দেয়া হয়। ততক্ষণে অসহায় পিতার অবয়বে কেমন যেন তৃপ্তির এক প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়। কেননা ১ঘন্টারও বেশি সময় হাসপাতালে বসে থেকেও কলিজার টুকরা সন্তানের যখন চিকিৎসা করাতে পারছিলোনা তখন এই দেশটাকে তার কাছে কেমন যেন আজব মনে হয়েছিলো।
টাকার অভাবে আশা ছেড়ে যখন চোখের পানিতে বুক ভিজতে ছিলো তখনই সহায় হলেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান।
তার এই মহতী উদ্যোগকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সাধুবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্যও লিখেছেন।
Leave a Reply