মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। ফরম পূরণের সময় ব্যবহারিক পরীক্ষার টাকা নেয়া হলেও পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতায় স্বাক্ষরের নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ওই টাকা।
বাউফল সরকারি কলেজ, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজসহ উপজেলার সকল কলেজের চিত্র একই। বিষয় প্রতি নেওয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা আর বিজ্ঞান বিভাগের প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকা। মানবিক ও বানিজ্য বিভাগের প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ২৫০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা। টাকা না দিলে ফেল করিয়ে দেয়া হবে এমন ভয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ‘ফরম পূরণের সময় ব্যবহারিক পরীক্ষার টাকা নেওয়া হয়েছে। নতুন করে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজের কয়েক পরীক্ষার্থী বলেন, প্রতি ব্যবহারিক খাতা বাবদ ২৫০ টাকা দেওয়ার পরে স্যারেরা স্বাক্ষর করেন। বিজ্ঞান বিভাগের একজন পরীক্ষার্থীকে পদার্থ বিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, উচ্চতর গনিত/জীব বিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ব্যবহারিক বাবদ দিতে হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা।
যার কোনো রসিদ দেওয়া হচ্ছে না। টাকা না দিলে কম নম্বর দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে ওই টাকা নেওয়া হচ্ছে। একই চিত্র বাউফল সরকারি কলেজে। এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোসা. মমতাজ বেগম বলেন, আমি সকল শিক্ষকদের এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। কোনো শিক্ষক ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা নিতে পারবেন না। যদি কেউ নিয়ে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply