বাউফলে উপহারের ঘরে ফাটল! Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বাউফলে উপহারের ঘরে ফাটল!

বাউফলে উপহারের ঘরে ফাটল!

বাউফলে উপহারের ঘরে ফাটল!




বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেয়া ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল অধিকাংশ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে এই ঘর। প্রতিটি ঘর পেতে প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে খরচ করতে হয়েছে ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নির্মাণ করায় একাধিক ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে।

 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২০-২০২১ ইং অর্থ বছরে বাউফলের ১০০ গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়ার উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে অধিকাংশ ঘরই আবার নবগঠিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়। ২নং ওয়ার্ডে রফিক মৃধাকে ঘর দেয়া হয়েছে। অথচ তার বাউফল পৌরশহরের হাসপাতালের পেছনে ও নাজিরপুরে পৃথক নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন চন্দ্রদ্বীপে জমি ক্রয় করে বসবাস করছেন। তাকে ভূমিহীন দেখিয়ে ঘর দেয়া হয়েছে।

 

 

তার স্ত্রী আঙ্কেস বেগম বলেন, আমার স্বামী এখানে কৃষি কাজ করে। আমরা একটি ঘর পেয়েছি। এই ঘরের ইট, বালু, সিমেন্ট পরিবহনের জন্য আমাকে ১৬ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। এছাড়াও ঘরের নির্মাণ শ্রমিকদের ১০ দিন খাওয়াতে হয়েছে।

 

 

একই ওয়ার্ডের আলাল খলিফা ও রুবেল হাওলাদার বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১নং ওয়ার্ডের বাবুল মৃধার রয়েছে মহিষের খামার। তিনি স্বচ্ছল হওয়ায় তার ছেলে আলম মৃধার নামে একটি ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন।

 

 

একই ওয়ার্ডের ইসমাইল প্যাদা বলেন, আমার ঘরটি নির্মাণের সপ্তাহ পার না হতেই দেয়ালে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘর তৈরিতে নিম্মমানের কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নদীর তীরে ইট, বালু ও সিমেন্ট রেখে যায় সরবরাহকারিরা। সেখান থেকে নির্মাণ উপকরণগুলো আনার জন্য পরিবহন খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। এছাড়াও নির্মাণ শ্রমিকদের খাওয়া বাবদ খরচ হয়েছে আরও ৪-৫ হাজার টাকা।

 

 

৩নং ওয়ার্ডে একই পরিবারের নাজমা বেগম, সাইফুল গাজী ও হাসান বয়াতিকে ঘর দেয়া হয়েছে। হাসান বয়াতির স্ত্রী মুক্তা বলেন, নির্মাণের পর তার ঘরের দেয়ালে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। ৩নং ওয়ার্ডের সামসুল হক ঢালীর ঘর আছে অথচ তিনিও পেয়েছেন উপহারের ঘর।

 

 

সামসুল হকের স্ত্রী জাকিয়া বেগম বলেন, প্রথমে ৫০০০ টাকা দিয়েছি ঘর পাওয়ার জন্য। এছাড়া উপকরণ পরিবহনে ৯০০০, ভূমিহীন হিসেবে খাস জমি বন্দোবস্ত পেতে ১৫০০ টাকা দিতে হয়েছে। একই ওয়ার্ডের মজিবর রহমান পরিবার নিয়ে থাকেন বাউফল পৌরশহরে। তিনি বাউফলে অটো রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভাইয়ের পাকা ভবনের পাশেই তুলেছেন ভূমিহীন হিসেবে পাওয়া ঘর।

 

 

অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, নতুন ভিটিতে ঘর নির্মাণ করায় ২/১টি ঘরে ফাটল তৈরি হয়েছে। আর দুর্গম এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী পৌছাতে সুবিধাভোগীদের সামান্য পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া ঘর নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD