বাউফলে ইলিশের আকাল তেঁতুলিয়া নদীতে Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বাউফলে ইলিশের আকাল তেঁতুলিয়া নদীতে

বাউফলে ইলিশের আকাল তেঁতুলিয়া নদীতে

বাউফলে ইলিশের আকাল তেঁতুলিয়া নদীতে




বাউফল প্রতিনিধি॥ ইলিশের অভয়ারন্য পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে এখন ইলিশের আকাল। ভরা মৌসুমেও নদীতে দিন রাত জাল ফেলে শুণ্য হাতে ফিরে আসছে জেলেরা। গত কয়েক বছর ধরে তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ না পাওয়ায় কম পুজির দরিদ্র জেলেরা হতাশায় ভুগছেন। তেঁতুলিয়ায় ইলিশ না পাওয়ার কারণ হিসেবে জেলেরা দুষছেন নদীর নব্যতা সংকটকে।

 

 

সূত্রে জানা গেছে, ভোলার চরভেদুরিয়া থেকে রাঙ্গাবালির চররুস্তুম পর্যন্ত শতাধিক কিলোমিটার ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রের মধ্যে উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর রয়েছে প্রায় ৪০ কিলোমিটার নদীপথ। সুস্বাদু পানির এই নদীর মাছের খ্যাতি দেশ জুরে রয়েছে। অথচ এই তেঁতুলিয়ায় এখন চলছে ইলিশের আকাল।

 

 

তেঁতুলিয়ায় ইলিশের আকাল কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলার চরবেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রবীন জেলে বাদশা মাঝি বলেন, এক সময়ে এই নদীর ওপর নির্ভরশীল ছিল জেলে অধ্যুষিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কম পূজিঁর সহ¯্রাধিক জেলে পরিবার। এসকল জেলেদের সাগড়ে যাওয়ার সামর্থ না থাকায় তারা ছোট নৌকা ও জাল নিয়ে তেঁতুলিয়ায় মাছ শিকার করতো। কিন্তু খর¯্রােত তেঁতুলিয়ার সেই রুপ আর এখন নাই। যেখানে সেখানে ডুবো চর সৃষ্টি হওয়ায় ইলিশের বিচরন কমে গেছে। এ কারণেই তেঁতুলিয়ায় এখন ইলিশের আকাল।

 

 

তেঁতুলিয়া নদীর নব্যতা সংকটের কারণ খুঁজতে গিছে জেলে ও নৌ পরিবহন পেশার সাথে যুক্ত এলাকার এমন কয়েকজন ব্যক্তির সাথে আলাপ করলে তারা জানান, নদীর অব্যাহত ভাংগন, নদীর বুকে যেখানে সেখানে পানির গতি প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি করে ঝাউপেতে মাছ শিকার, অপরিকল্পিত ড্রেসিং ব্যবস্থা।

 

 

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দরিদ্র জেলে মাহবুব রহমান বলেন, সারা বছরই তেঁতুলিয়া নদীর উপর নির্ভরশীল ছিল তার পরিবার। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তেমন কোন মাছ ধরা না পড়ায় ধারকর্য করে চলতে হয়েছে। কিন্তু কোন ভাবেই তেঁতুলিয়ায় ইলিশ শিকার না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বড় মাহজন (যারা শিপিং বোর্ড নিয়ে সাগড়ে যায়) জেলেদের সাথে সাগড়ে যাই সিজন চুক্তিতে। এ ভাবেই কোন রকম সংসার চলে।

 

 

এ চিত্র উপজেলার অধিকাংশ জেলের। আবার কোন কোন জেলে পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন।

 

 

উপজেলা মৎস অফিস সুত্রে জানা গেছে, বাউফলে প্রায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ৮ হাজার। কিন্তু বেসরকারী হিসেবে মতে এর দ্বিগুন বলে জানা গেছে।

 

জেলে ও জেলে পরিবারের জীবন মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে কমিনিউটি ডেভলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) নামের একটি বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা অরুন কান্তি বলেন, দক্ষিনাঞ্চলের যে সকল নদীতে ইলিশ পাওয়া যায় তার মধ্যে তেঁতুলিয়া নদীর ইলিশ সবচেয়ে সুস্বাদু। তবে দু:খের বিষয় এই নদীতেই এখন ইলিশের আকাল। এ নদীতে পূনরায় ইলিশের বিচরন বাড়াতে হলে সরকারের মৎস দপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে।

 

 

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জমিস উদ্দিন বলেন, নদীতে ঝাউপেতে মাছ শিকার অবৈধ। শুধু ঝাউ নয়। নদীর গতিপথ বাঁধা গ্রস্থ হয় এমন কোন কিছুই বৈধ না। এ ধরনের সব কিছুই অপসারন করা হবে আগামী ১৪ অক্টোবরের প্রজনন সময়ের আগে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD