বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ২০২০ সালে মেয়ে সুমাইয়া আফরিনকে সামাজিকভাবে বিয়ে দেন বাবা মনিরুজ্জামান তালুকদার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় সুমাইয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো স্বামী ওমর ফারুক।
আর সেই দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক সন্তানের জননী সুমাইয়া আফরিনকে (১৯) পরিকল্পিতভাবে বরিশাল থেকে ঢাকায় নিয়ে হত্যা করেছে তার পাষন্ড স্বামী ওমর ফারুক। এমনই অভিযোগে নিহতের বাবা মনিরুজ্জামান তালুকদার থানায় মামলা দায়ের করে বিপাকে পরেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে ওমর ফারুক ও তার বাবা, মাসহ আরো দুইজনকে।
আজ (বুধবার) সকালে নিহতের বাবা জানান, পুলিশ মামলার প্রধান আসামি ওমর ফারুককে গ্রেফতারের পর তার লোকজনে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও জানান, ২০২০ সালে তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিনকে সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয় ঝালকাঠির সুগন্ধিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুকের সাথে। বিয়ের পর থেকেই ওমর ফারুক যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় সুমাইয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো।
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির খাগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান তালুকদার আরও জানান, স্বামী ও শ্বাশুরীর নির্যাতন সইতে না পেয়ে প্রায়ই তার মেয়ে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে আসতো। তিনি (মনিরুজ্জামান) আরও জানান, সুমাইয়ার স্বামী ওমর ফারুক ঢাকার সদরঘাটে কাপড়ের ব্যবসা করার সুবাদে পরিকল্পনাভাবে সুমাইয়াকে তার ছয় মাসের শিশু সন্তানসহ যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসা রোডের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। গত ১৩ জানুয়ারি পরিকল্পিতভাবে সুমাইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এসময় প্রতিবেশীরা মুমূর্ষ অবস্থায় সুমাইয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ জানুয়ারি সকালে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মনিরুজ্জামান তালুকদার বাদী হয়ে ১৫ জানুয়ারি ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানায় ওমর ফারুকসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। মনিরুজ্জামান তালুকদার মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।সুত্র,বার্তা বাজার
Leave a Reply