শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না দেয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা উদ্বিগ্ন। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বলে দাবি তাদের। এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের দেয়া বরাদ্দ অনুসারে বন্টন হয়েছে পিপিই। অপরদিকে সিভিল সার্জন বলছেন, আইসোলেশন ওয়ার্ডের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতদের জন্যই শুধু পিপিই দেয়া হয়েছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মী সবাই এখন উদ্বিগ্ন। পিপিই বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী না পাওয়ায় হতাশ তারা। করোনা নিশ্চিত হবার আগে রোগীর চিকিৎসাকালে রোগী থেকে ডাক্তার,নার্সসহ সবাই শংকিত। তাই পিপিই সরবরাহের দাবি তাদের। শেবাচিম হাসপাতাল আন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার হালদার বলেন, পুরো পিপিই ছাড়াই সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা খুবই ঝুঁকির মধ্যে আছি।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বর্হিবিভাগ সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নুরুন্নবী তুহিণ বলেন, গাউন, মাস্ক, ক্যাপ এগুলো সরবরাহের অনুরোধ জানাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের দেয়া বরাদ্দ অনুসারে বন্টন হয়েছে পিপিই। আর সিভিল সার্জনের দাবি, করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসার সাথে জড়িতদের জন্যই দেয়া হয়েছে পিপিই। শেবাচিম হাসপাতাল বরিশাল উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পিপিই যেটা আমরা পেয়েছি সেটা আইসোলেশন ওয়ার্ডে যারা ডিউটি করবে এজন্য আমরা এসব রেখেছি। সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, যারা আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাজ করবে তারাই পিপিই পড়বে। আউটডোরের তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসা দেবেন। বরিশালে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ৪শ ৩৬টি বেড রয়েছে। আর এ দফায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩শ ২০টি।
Leave a Reply