সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশালে মাত্র চারশ’ টাকা বকেয়া হোটেল ভাড়ার জন্য মাছ ব্যবসায়ী রুবেল খন্দকারকে (৩০) হত্যা করার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছের হোটেল স্বাধীনপার্কের ম্যানেজার আনিচুর রহমান। লাঠি দিয়ে রুবেলের মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয় বলে আদালতকে জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত আনিচুর রহমান শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল ফয়সালের কাছে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।
গ্রেফতার আনিচুর রহমান বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ জোমাদ্দারের ছেলে ও নগরের রুপাতলী এলাকার হোটেল স্বাধীনপার্কের ম্যানেজার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক বিজয় মণ্ডল জানান, মাছ ব্যবসার কারণে প্রায় রাতে রুবেল খন্দকার হোটেল স্বাধীনপার্কে অবস্থান করতেন। এর অংশ হিসেবে ঘটনার দিন মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রুবেল ওই হেটেলের দোতলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন। তখন ম্যানেজার আনিচুর রহমান হোটেলের রুম ভাড়ার ৪০০ টাকা চাইলে রুবেল পরে দেবেন বলে জানান। ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে রুমে গিয়ে তার কাছে ফের ভাড়ার টাকা চাইলে হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়ান রুবেল। এর একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে রুবেলের মাথায় আঘাত করেন আনিচুর। এতে রুবেল অজ্ঞান হলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। মরদেহ হোটেলের রুমে রেখে ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
বিজয় মণ্ডল আরও জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে হোটেলের ওই রুমে গেলে রুবেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পাই। তখন তার ডান কান থেকে রক্ত ঝরছিল। ডান কান সংলগ্ন মাথায় হালকা আঘাত ও গলায় দুইটি দাগ দেখা গেছে। তখন বিষয়টি অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করলে দু’দিনের মধ্যে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রূপাতলী টেম্পোস্ট্যান্ড থেকে অভিযুক্ত আনিচুর রহমানকে আটক করা হয়। আটকের পর নিহত রুবেলের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আনিচুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক আল ফয়সাল তাকে কারাগারে পাঠান।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, এ ঘটনার দু’দিনের মধ্যে খুনের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকার বিষয় উঠে আসেনি।
Leave a Reply