সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সারাদেশে করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝেই বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানার বাঘিয়া এলাকায় চলছে হাজার হাজার টাকা নিয়ে জমজমাট জুয়ার আসর।
নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের বাঘিয়া এয়ারপোর্ট থানাধীন হাওলাদার বাড়ির পিছনে জুয়াড়িরা প্রকাশ্যে দিবালোকে এই আসর বসায়। জুয়ার প্রভাবে ওই এলাকার যুবসমাজ আজ ধংসের মুখে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর বাঘিয়া এলাকার রহমআলী হাওলাদার বাড়ির পিছনে একটি গাছের বাগান সংলগ্ন প্রকাশ্য দিবালোকে বসে জুয়ার আসর। বাঘিয়া এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালীর নেতৃত্বে বসে জুয়ার আসর।
নগরীর এয়ারপোর্ট থানার বাঘিয়া এলাকার রহমআলীর পুত্র শহিদ নিজ বাড়ির পিছনে একটি গাছের বাগানে জুয়ার আসার পরিচালনা করে আসছে। ওই বাগানে সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুত্র বলছে, ওই এলাকায় শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বাগানের পাশে খোলা মাঠে স্থানীয় কিছু যুবক ক্রিকেট খেলছিলো সেখানে জনসমাগম দেখায় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।এসময় জুয়ারীদের সাথে থাকা শহিদ ও পুলিশ দেখে পালিয়ে যায়।
জুয়ার প্রলোভনে পড়ে দূর-দূরান্ত থেকে পেশাদার জুয়াড়িদের সঙ্গে আসা সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা জুয়ার বোর্ডে ব্যবসার তহবিলসহ টাকা-পয়সা হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। আর জুয়া বন্ধের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এক প্রত্যক্ষদর্শী, জানান, ওই স্পটে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯৬ হাজার টাকার জুয়া খেলা হয়। জুয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রভাবশালী থাকায় প্রকৃতির হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের কাছে অসহায়। ইতোপূর্বে এই জুয়ার আসর নিয়ে এলাকাবাসী বৈঠক এবং প্রশাসনকে জানিয়েও স্থায়ী কোন প্রতিকার পায়নি। এবিষয় শহিদ হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় কাটানোর জন্য শরিরে বাতাস লাগানোর জন্য বাগানে যাওয়া হয় ।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ বিন আলম বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলেই অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারপরও পুলিশ সদস্যরা এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
Leave a Reply