রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলীতে উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে অস্বাভাবিকহারে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথার প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৫০ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
করোনাকালে এসব উপসর্গ দেখা দেওয়া ও দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শহর ও গ্রামাঞ্চলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চিকিৎসকরা রোগীদের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলেও দু-একজন পরীক্ষা করলেও অধিকাংশ রোগীরা অনিহা প্রকাশ করে বাড়ি চলে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের অধিকাংশ জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া গত এক সপ্তাহে উপজেলায় ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলেও কিছুতেই তারা তা মানতে চান না। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের করোনা পরীক্ষায় করতে বললেও পরীক্ষায় তারা একেবারেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা জ্বরে আক্রান্ত রোগী মো. রিপন মৃধা জানান, গত দুদিন ধরে জ্বরে ভুগেছি। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট কিনে খেয়েছেন। তবুও তার জ্বর না কমায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফারজানা আক্তার দিনা বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে স্বর্দি জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেক রোগী তাদের জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজেদের ইচ্ছা মতো স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে খায়। ওই সব রোগীদের সিজনাল জ্বর-সর্দি কাশি হয়েছে নাকি কারোনার কারণে জ্বর-সর্দি কাশি হয়েছে তা চিকিৎসকের কাছে না আসলে কিভাবে বুঝবো। আর যে সমস্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে তাদের অধিকাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেও অনিহা প্রকাশ করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথার প্রকোপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সিজোনাল কারণে এসব রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান। কারো সন্দেহ হলে যে কেউ করোনার পরীক্ষা করতে পারে। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীরা করোনা পরীক্ষা করাতে অনিহা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply