সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের কাউখালীর এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়ি ডাকাতি মামলায় পাচঁ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছর করে কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। এই রায়ে আদালত একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
সোমবার পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ রায় প্রদান করেন। দন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন কাউখালী উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের কামরুল ইসলাম নাঈম (২৮), একই উপজেলার মেঘপাল গ্রামের আরিফ হোসেন (২৮), নেছারাবাদ উপজেলার সাগরকান্দা গ্রামের মো. আরিফ (৪২) ও মো. আতিক (৩৮), ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের মো. আনিস (৩৩)।আসামীদের মধ্যে কামরুল ইসলাম নাঈমও মিলন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, কাউখালী উপজেলার বড় বিড়ালজুড়ি গ্রামে ২০১২ সালের ২৬ জুলাই রাত একটার দিকে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা নজরুল ইসলাম খান ঘরের জানালার গ্রিল কাটার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে জেগে সৌর বিদ্যুতের আলোয় দেখেন পাঁচ থেকে ছয় জন ডাকাত ঘরের ভিতরে । ডাকাতেরা ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ছয় ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে ।
যার মূল্য ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ২৮ জুলাই এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম খান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ কামরুল ইসলাম ও আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিলন হাওলাদার নামের এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি খান মো. আলাউদ্দিন।
Leave a Reply