সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া কীর্তনখোলা-১০ এবং ঢাকা থেকে আসা ফারফান-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ।
এছাড়া সংঘর্ষের কারন খতিয়ে দেখতে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এতে বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ‘বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এবং পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফারহান-৯ লঞ্চের মাষ্টার (দ্বিতীয় শ্রেণী মর্যাদার) আফতাব হোসেন ও সুকানি আব্দুল হামিদকে পিরোজপুর সদর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
তারা বর্তমানে থানা হাজতে রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখা হবে। তাছাড়া এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করাও হতে পারে।
অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক এবং বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, ‘অভ্যন্তরীন নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ৮১ ‘ক’ ধারা অনুযায়ী ফারহান-৯ লঞ্চটি স্থানীয় থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া লঞ্চটির চলাচল বন্ধ থাকবে।
তাছাড়া দুর্ঘনটার কারণ খতিয়ে দেখতে বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যের এই কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
ভয়েস অব বরিশাল/ আমিনুল ইসলাম
Leave a Reply