বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে অধিক মুনাফার লাভের আশায় অনুপযোগি পোকায় খাওয়া এবং দুর্গন্ধযুক্ত চাল বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই সাথে দুর্গন্ধযুক্ত ওই চাল অন্য চালের সাথে মিশিয়ে দেশের নামিদামি কোম্পানীর ছাপাযুক্ত বস্তায় ভরে মুখ সেলাই করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে ওই ব্যাবসায়ী।উপজেলার কালাইয়া বন্দরের চাল ব্যবসায়ি মো.মজিদ মিয়ার আরতে দেদারছে চলছে এই ব্যবসা।
জানা গেছে, প্রভাবশালীদের হাত করেই দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।এর ফলে একদিকে যেমন ক্রেতারা ঠকছেন অপরদিকে জনস্বাস্থ্য হুমকি মধ্যে পড়ছে। সরেজমিন কালাইয়া বন্দরের সদর রোডে মো. মজিদ মিয়ার দোকানে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই চাল ব্যবসায়ি দীর্ঘদিন যাবত এই ধরণের অসাধু কারবার করে আসলেও আদৌ প্রশাসনের নজরে আসেনি।
চাল ব্যবসায়ি মজিদ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নামমাত্র মূল্যে লালচে, দুর্গন্ধযুক্ত ও পোকায় খাওয়া চাল সংগ্রহ করে কালাইয়া বন্দরে তার গোডাউনে এনে ভালো চালের সাথে মিশিয়ে নূরজাহানসহ দেশের নামিদামি চাল কোম্পানীর ছাপাযুক্ত বস্তায় ভরে মুখ সেলাই করে ক্রেতাদের কাছে ভাল চাল বলে বিক্রি করে আসছে। তার আরতে সারি সারি করে সাঁজিয়ে রাখা হয়েছে লালচে ও দুর্গন্ধযুক্ত চালের বস্তা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মো, মজিদ বলেন, চট্টগ্রামের এক চাল ব্যবসায়ির কাছ থেকে কম দামে এই চাল কিনে এনে কম দামেই বিক্রি করছি। তবে অন্য চালের সাথে মিশিয়ে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
দুর্গন্ধযুক্ত চাল খাওয়ার জন্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন কেন? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালাইয়া বন্দরের একাধিক চাল ব্যবসায়ি বলেন, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মজিদ চট্রগামসহ দেশের বিভিন্ন গোডাউন থেকে পোকায় খাওয়া এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া খাদ্য অনুপযোগি চাল কম টাকায় ক্রয় করে নুরজাহানসহ অন্যান্য নামিদামি চাল কোম্পানীর বস্তায় ভরে বিক্রি করে থাকেন।
এব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাকির হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন,অভিযুক্ত চাল ব্যবসায়ীর ব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply