বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীতে এক নার্সের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর খাদ্যনালী কেটে ফেলার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাউফলের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
মঙ্গলবার জেলার বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর নাম জাহানারা বেগম। তিনি ওই উপজেলার নওমালা ইউপির নিজ বটকাজল গ্রামের কৃষক সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী জানান, সম্প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসেন তিনি। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শিরীন আক্তার জাহানারাকে ডিঅ্যান্ডসি করার পরামর্শ দেন। পরে ওই নার্সই অন্তঃসত্ত্বা নারীর ডিঅ্যান্ডসি শুরু করলে খাদ্যনালীর নিচের একাধিক অংশ ছিদ্র হয়। এতে জাহানারা বেগমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং মলমূত্র পেটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, জাহানারা বেগমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং মলমূত্র পেটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়া হয়।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম তালুকদার বলেন, ডিঅ্যান্ডসি করার সময় জাহানারার খাদ্যনালীর নিচের একাধিক অংশ ছিদ্র হওয়ায় তার অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন। মলমূত্র ত্যাগ করতে তার পেটের বাইরে একটি ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। তিন মাস পর তাকে আবার অস্ত্রোপচার করা হবে। চিকিৎসার জন্য জাহানারা বেগমের অনেক টাকা প্রয়োজন হবে।
জাহানারা বেগমের স্বামী বলেন, আমি পেশায় একজন কৃষক। তাই অনেক কষ্টে ঋণ করে ৪০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য খরচ করেছি। এখন আর আমার সামর্থ্য নেই। তাই ওই নার্সের বিচার চেয়ে বাউফলের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।
অভিযুক্ত নার্স শিরীন আক্তার বলেন, আমার ভুল হতেই পারে। এ নিয়ে জাহানারা বেগমের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবুও কেন আমার বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ দিল বুঝতে পারছি না।
Leave a Reply