নদী থেকে শূন্যহাতে ফিরছে উপকূলীয় জেলারা Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




নদী থেকে শূন্যহাতে ফিরছে উপকূলীয় জেলারা

নদী থেকে শূন্যহাতে ফিরছে উপকূলীয় জেলারা

নদী থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে শূন্যহাতে ফিরতে হচ্ছে উপকূলীয় জেলারা




দশমিনা প্রতিনিধি॥ নদী থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে শূন্যহাতে ফিরতে হচ্ছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার জেলেদের। অনেক কষ্টে দিন পার করছে এখানকার কয়েক হাজার জেলে পরিবার। কর্মহীন হয়ে বাড়িতেই অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা।

 

 

জীবিকার জন্য এসব পরিবারগুলো নদীর ওপর নির্ভরশীল। জাল ও নৌকা নিয়ে নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে ইলিশ ছাড়া নামমাত্র অন্য কোনো মাছ শিকার করলেও তা দিয়ে চাল কেনার মতো টাকা জুটছে না। তবে সিংহভাগ জেলেকে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদী থেকে ফিরতে হয় খালি হাতে ও হতাশা নিয়ে।

 

 

জাল শুকিয়ে ঘরে এসে আবার পরের দিন ছুটে যান সবাই একবুক আশা আর ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে নদীর বুকে। অনেকেই পৈতৃক পেশা ছেড়ে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। অনেকে আবার ঋণের চাপে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা মৎস্য বিভাগ বলছে- নদী ভরাট হওয়ায় নদীতে মাছের সংখ্যা কমে যেতে পারে।

 

 

সরকারি হিসাবে এ উপজেলায় মোট জেলের সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক; কিন্তু বাস্তবে এর সংখ্যা আরও বেশি। বর্তমানে এসব সব জেলেদের সিংহভাগ কষ্টে ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

 

 

সরেজমিন বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের গোলখালী গিয়ে স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা হয়। স্থানীয় জেলেরা জানান, নদীতে পানি নেই। তাই মাছও নেই।

 

মাঝ নদীতে গিয়েও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। ২ থেকে ৩ জন একসঙ্গে মিলে নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাল ফেলে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না; যা পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। তার মধ্যে সিংহভাগ জেলদের কাঁধে ঋণের বোঝা।

 

 

প্রতি বছরের ৬ থেকে ৭ মাস আমাদের এভাবে চলতে হচ্ছে বলে জানান অনেকে। ওই এলাকার জেলে রফিক মাঝি জানান, নদীকে তেমন কোনো মাছ নেই। নদীতে গেলে খালি হাতে আসতে হয়।

 

 

তিনি জানান, আরও একমাস এভাবে চলবে। সংসার চালাতে ও ঋণের কিস্তি দিতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। কুদ্দুস মোল্লা নামে এক জেলে বলেন, জেলেরা অনেক কষ্টে আছেন। ঋণের দায়ে সবাই জর্জরিত হয়ে গেছেন। ৩ থেকে ৪ মাস ধরে জেলেরা চাল পাচ্ছেন না। জেলেপাড়ার মানুষরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে তিনি জানান।

 

 

একই এলাকার আরও এক জেলে জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেরা চাল পেয়েছিলেন। এরপর আর কেউ চাল পাননি। জেলেরা এখন অলস সময় পার করছেন। তাই ছেঁড়া জাল সেলাই করে তাদের দিন কাটে।

 

 

কাওসার আলম নামে অন্য একজন জানান, পায়রাবন্দরের পনেরো কিলোমিটার এলাকায় ফুটানো পানি রয়েছে। যার ফলে এসব নদীতে মাছ আসতে পারে না।

 

চলতি মৌসুমে বিগত দিনে নদী ভরা মাছ থাকত। স্থানীয় জেলে ও উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ীরা অনেক লসে পড়ে গেছে। ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরাও। নদীমাতৃক এলাকার নদীতে মাছ থাকলে জেলে ও ব্যবসায়ীরা ভালো থাকে। আর নদীতে মাছ না থাকলে সবাইকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়।

 

 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, নদী ভরাট হওয়ার কারণে ও মাছের গতি পরিবর্তন হওয়ার কারণে নদীতে মাছ কমে গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD