সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
রিয়াজ মাহামুদ আজিম॥ করোনা সংক্রামন এড়াতে লঞ্চ-বাসের পর এবার থ্রি হুইলার সহ সব ধরনের যান্ত্রিক যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বরিশালে। পায়ে চালিত কিছু সংখ্যক রিক্সা পাওয়া গেলেও ভাড়া দ্বিগুন থেকে চারগুন উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তারা পায়ে হেটে দির্ঘ পথ যাত্রা করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। বরিশাল থেকে স্থানীয় এবং দূরপাল্লার লঞ্চ-বাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত মঙ্গলবার। তারপরও গতকাল বুধবার ঢাকা থেকে বাসে বরিশাল এসেছেন শত শত যাত্রী।
তাদের বরিশাল নগরী থেকে দূরের একটি স্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাস থেকে নেমে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কোন থ্রি হুইলা, অটোরিক্সা সহ অন্যান্য যানবাহন না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন সাধারন যাত্রীরা। পায়ে চালিত কিছু সংখ্যক রিক্সা এবং ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল থাকলেও ভাড়া দ্বিগুন থেকে চারগুন পর্যন্ত উঠছে। এ কারনে সবার পক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ঠিক সেই মুহুতে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় গাড়ি চালকদের জিম্মি করে চাঁদা উত্তালন করেন মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ব্যাক্তি। বুধবার (২৫মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদা উত্তলন করে সে।
নথুল্লাবাদ এলাকায় ডিউটিরত এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ দেখে ফেলায় দ্রুত সটকে পরে ওই চাঁদাবাজ। কিছু ক্ষন পরে আবারো চাঁদা তুলতে গেলে পুলিশের মুখে পরে যায় চাঁদাবাজ জাহাঙ্গীর। এসময় ওই চাঁদাবাজকে স্থান ত্যাগ করতে বলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। জাহাঙ্গীর হোসেন নগরীর লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা।
সে পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। নথুল্লাবাদ এলাকার পিকাভ্যান চালক টিপু বলেন, ধানসিড়ি হেটেল সম্মুখ থেকে যাত্রী উঠালে আমার কাছে ৪৫০ টাকা দাবীকরে। দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে যাত্রীদের নামিয়ে অন্য গাড়িতে উঠিয়ে দেয়ার হুমকী দেয় সে।
সোহেল নামে এক চালাক বলেন, নথুল্লাবাদ থেকে লেবুখালি যাওয়ার জন্য গাড়িতে যাত্রী উঠানো হয়। গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় আমার গাড়ির সমানে এসে এমন ভাবে বলে টাকা দিয়ে যা,পরে আমি তাকে ২শত টাকা দেই। আমি মনে করছিলাম তিনি মনে হয় নথুল্লাবাদ বাসস্টানের শ্রমিক পরে শুনি সে এভাবে অনেক গাড়ি থেকে টাকা উত্তলন করেছেন
। এবিষয় কেন্দীয় বাস টারমিনাল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অনেক দুর দুরান্ত থেকে মানুষ আসতেছে। আমাদের সকল গাড়ি বন্ধ রয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়নের নামে কেই চাঁদাবাজি করলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেয়া হবে,কেননা সাধারন মানুষ অনেক কষ্ঠ করে টাকা উপার্জন করে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। এধরনের অভিযোগ পেলে সংগঠন থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply