সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক।। ঘটকালীর আড়ালে নিজের লালসা চরিতার্থ করাই তার কাজ। অপেক্ষাকৃত কম বয়সী যুবকদের বিয়ে করিয়ে নিজেই ওই নারীর সাথে ঘর করা তার নেশা এবং পেশা। এ যাবত একাধিক যুবককে বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থ ও নারী দুটোই কব্জা করেছেন নারীলোভী এ ঘটক। বরিশাল নগরীতে ঘটক নামের এই নারীলোভী থাকেন কাশিপুর ইছাকাঠী প্রধান সড়কের ভাড়াটিয়া বাসায়। স্থানীয়দের মতে,বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই ওই যুবককে তালাক করিয়ে দিয়ে কাবিননামার অর্থ আদায় করাই তার উদ্দেশ্য সাথে লালসাতো রয়েছেই।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর কাশিপুর ইছাকাঠী ২৯ নং ওয়াডর্ এলাকার (মজিবর মাওলানা বাড়ি) কাঞ্চন আলী মাতবর’র পুত্র সোহেল মাতবর (১৫) কে একটি বিবাহ বন্ধনে আবব্দ করেন ঘটক সেলিম।বিবাহ এক বছর না যেতেই সোহেলকে গুনতে হবে এক লক্ষ টাকা !আর এ ঘটনায় এয়াপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সোহেল।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,এক বছর পূর্বে ঘটক সেলিমের মাধ্যেমে বরিশাল জেলার হীজলা থানার কাউরিয়া গ্রামের ওহিদ খানের বড় মেয়ে কাজল’র(১৭) সাথে দের লক্ষটাকা দেনমহরে সোহেলের সাথে বিবাহ হয়।একমাস না যেতেই সোহেলের স্ত্রী ওই ঘটকের বাসায় যাতায়াত করায় সন্দেহ জাগে স্থানীয়দের মাঝে।
বিষয়টি সোহেল জানতে পেরে স্ত্রীকে ঘটকের বাসায় যেতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয় ঘটক সেলিম । স্ত্রী কাজল আবারো সেলিমের বাসায় গেলে সোহেল স্ত্রীকে নিজ বাসায় নিতে গেলে সেলিম তাকে মারধার করে। এসমসয় সোহেল কাউন্সিয়র ফরিদ আহমেদকে জানালে কাউন্সিয়র ফরিদ নিজে সেলিমের মুঠো ফোনে, ফোন দিয়ে জিগেস করেন সোহেলকে মারধর করা হয়েছে।এসময় সেলিম বলেন, ও আমার বাসার জানালা দিয়ে উকি দেয়ার কারনে দুই গালে দুইটা ধাপ্পার দিয়েছি ভাই। ওতো আমাদের এলাকার ছেলে।
অন্যদিকে একই এলাকার সুমন নামের এক যুবক সেলিমের ঘটকালীর ফাদেপরে বিয়ে করে, কিন্তু তার স্ত্রীর দিকে কু দৃষ্ঠি পরে এতে এক সময় সুমনের সুখের সংসারটি ধংস হয়ে যায় ।
ভুক্তভোবী সুমন অভিযোগ করেন ,স্থানীয় ভাবে চাচা হিসাবে সু সম্পর্ক থাকায় আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে একসময় দ্যাম্পত জীবন শুরু করি।তবে দুখের বিষয় হলো বিভিন্ন সময় আমার অজান্তে স্ত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।বিষয়টি আমি জানতে পেরে সেলিসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি।
এবিষয় সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সত্য নয়।এব্যপারে এয়ারপোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) অরবিন্দ বিশ্বাস তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সেলিম নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে,বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
Leave a Reply