মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল॥ বরিশাল নগরীতে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সাথে পেরে উঠছে না মেট্রোপলিটন পুলিশ। তারা যখন মাদকের বিরুদ্ধে ছুটছে চোরের দৃষ্টি তখন মানুষের ঘরের দিকে যাচ্ছে। সুযোগ বুঝে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থসহ মূল্যমান মালামাল। গত কয়েক রাতে নগরীতে এমন কয়েকটি ছোট-বড় চুরির ঘটনা নগরবাসির মধ্যে ফের আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
যদিও হঠাৎ করে রাতে চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের দায়িত্ব অবহেলাকেই দায়ি করছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ রাতের টহল পুলিশ ঘমিয়ে কাটান। আর টহল ব্যবস্থা ভেঙে পড়াতেই চোরের উৎপাত ফের বেড়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ইতিপূর্বে চোরের উৎপাত ঠেকাতে আটঘাট বেধে নেমে পড়ে নগর পুলিশ। বিশেষ করে ফ্লাটে চুরি করা চোর চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান করে সফলাও পায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। সংঘবদ্ধ চোর চক্রের হোতাসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাক-ঢোলও পেটানো হয়। তবে সেই ঘটনার কিছু দিন না যেতেই পুনরায় চোরের উৎপাত বেড়ে গেছে। তাও আবার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায়। কোতয়ালী থানা পুলিশ মাদকের পেছনে ছুটতে গিয়ে নগরবাসির নিরাপত্তা ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে পড়েছে। যার দরুন প্রায় প্রতি রাতেই ছিচকেসহ বড় ধরনের চুরিও সংঘটিত হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সর্বশেষ শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর বাটতলা সড়ক এলাকাধীন হাতেম আলী কলেজ ছাত্রাবাস সংলগ্ন আশ্রাফ সড়কের একটি বাড়ি দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। যেখান থেকে চোর চক্র নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মূল্যমানের মালামাল চুরি করেছে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে সদর রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন দুটি বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়। এর মধ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী অফিস থেকে ৩টি মোবাইল ও নগদ ২১ হাজার টাকা এবং তার পাশর্^বর্তী ফেরদৌস এর ঘরে চুরি সংঘটিত হয়।
এক রাতে নগরীর প্যারারোডে আইটেল ও টেকনো মোবাইল কাস্টমার কোয়ারে চুরি সংঘটিত হয়। চোর চক্র সেখান থেকে বেশ কিছু মোবাইল সেট চুরি করে নেয়। এর পূর্বে নগরীর বগুরা রোডের একটি ফ্লাট বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়। চোর চক্র তালাবদ্ধ ওই ফ্লাটে প্রবেশ করে নগদ অর্থ ও স্বণাংলকারসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার মুলামাল চুরি করে পালিয়। এই ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে। তবে একের পর এক চুরির ঘটনা বাড়তে থাকলেও চোরের লাগাম টেনে দিতে পারছে না পুলিশ সদস্যরা।
চোরের কবলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েকজন জানান, পুলিশের অভিযানের কারনে কিছুদিন চোরের উৎপাত কিছুটা কমে ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই উৎপাত আবার উদ্বেগজণক হারে বেড়েছে। এর ফলে নগরবাসির রাত কাটে চুরি আতঙ্কে।
তারা অভিযোগ করেন, ‘মুলত রাতে টহল পুলিশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না। রাত ১টার পর পরই পুলিশ রাস্তার দোকান-পাট বন্ধ করে কোন এক স্থানে ঘাপটি মেরে থাকে। তবে সে ঘাপটি মারাটা চোর ধরার জন্য নয়, রাত্রিকালিন একটু বিশ্রামের জন্য। সেই সুযোগেই চোর চক্র তাদের কাজ সেড়ে চম্পট দিচ্ছে। চুরি রোধে রাতের হটল ব্যবস্থা আরো জোড়দারের জোর দাবি তুলেছেন নগরবাসি।
Leave a Reply