ঝালকাঠিতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় লঞ্চ ডুবোচরে, উদ্ধার হয়নি ৪ দিনেও Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




ঝালকাঠিতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় লঞ্চ ডুবোচরে, উদ্ধার হয়নি ৪ দিনেও

ঝালকাঠিতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় লঞ্চ ডুবোচরে, উদ্ধার হয়নি ৪ দিনেও

ঝালকাঠিতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় লঞ্চ ডুবোচরে, উদ্ধার হয়নি ৪ দিনেও




রাজাপুর প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় ঢাকা টু বরগুনা ঘামি পূবালী-১ নামের একটি দোতলা লঞ্চ ডুবোচরে বেধেছে। অনেক চেষ্টা করেও গত ৪দিনে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নরে চরপালট এলাকার এ ঘটনা ঘটে।

 

 

জানাগেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঝড়-বাতাস শুরু হলে পূবালী-১ নামের ঐ লঞ্চটি প্রায় সাড়ে ৩শ যাত্রী নিয়ে উপজেলার চরপালট এলাকায় ডুবোচরে বেধে যায়। এতে ঐ লঞ্চে থাকা যাত্রীরা পড়ে চরম দুর্ভোগে। পরে লঞ্চের কিছুযাত্রী রাজারহাট-বি নামে অপর একটি লঞ্চে তুলে দেয় পূবালী-১ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বাকিরা সকালে যে যার মত করে নিজ খরচে গন্তব্যে ফিরে। অভিযোগ রয়েছে ঐ চরে বারবার লঞ্চ বেধে যাওয়ার কারনে ড্রেজার দিয়ে চর কেটে লঞ্চ নামাতে হচ্ছে। এতে পাশের গুচ্ছগ্রামটি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

 

 

উল্লেখ্য গত ১৩ আগস্ট একই স্থানে ‘অভিযান-১০’ নামে একটি লঞ্চ বেধে ছিল। যা প্রায় ১৫দিন পরে উদ্ধার করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

 

 

পূবালী-১ লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. জহিরুল ইসলাম, জানায়, নৌপথে বিভিন্ন স্থানে সিগন্যাল থাকার কথা থাকলেও ঢাকা টু বরগুনা পথে ঝালকাঠির পরে আর কোন সিগন্যাল নেই। যার কারনে হঠাৎ করে দিক নিরনয় বা কোনটা ডুবোচর তার দুর থেকে বোঝা মুশকিল। আর রাতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় কিছইু বোঝা যায় না। জোয়ারের পানিতে সব একই মনে হয়। তাই কোনটা ডুবোচর আর কোনটা নদী এটা বুঝার কোন উপায় থাকে না। ঘটনার ঐ রাতে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে কিছু বুঝে উঠার আগেই লঞ্চ ডুবোচরে বেধে যায়। আর এই চরটিও একেবারে নতুন।

 

 

মলিক পক্ষের মো. ইমরান খান রাসেল জানান, লঞ্চটি চরে বাধার পড়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এখন অন্য পদ্ধতিতে লঞ্চ নামানোর চেষ্টা চলছে।

 

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে চর কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এর পরেও যদি কাটে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বরিশাল নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা স্থলে দুইজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে তারা রিপোর্ট দিবে। যেসব স্থানে সিগন্যাল নেই সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে তার শীঘ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD