মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ করোনা পরিস্থিতিতে ঝালকাঠিতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পরিবহন চলাচল । এতে বিপাকে পড়েছেন ঝালকাঠির ৫ম চীন মৈত্রী সেতুর (গাবখান সেতু) ইজারাদার। এই সেতুতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন গড়ে মাত্র শতকরা ২০ভাগ টোল আদায় হচ্ছে। বর্তমানে যে টোল আদায় হচ্ছে তা দিয়ে কর্মচারীদের বেতন দেয়াই যাচ্ছে না। এতে হতাশায় ভুগছেন ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ মিটার। প্রায় ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এটিই দেশের সর্ববৃহৎ উঁচু সেতু। এ চ্যানেলকে বলা হয় বাংলার সুয়েজ খাল। এ চ্যানেল দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল চুক্তির জাহাজ এবং ঢাকা খুলনা মংলা চট্টগ্রাম’র পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে প্রতিনিয়ত। সড়ক পথে ফরিদপুর-বরিশাল হয়ে ঝালকাঠির বুক চিরে অবস্থিত এ সেতু দিয়ে খুলনা-যশোর-বেনাপোল-সাতক্ষীরা পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় মহাসড়কের যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল করে। সেতুটিকে ঘিরে সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে প্রস্তাবিত ন্যাশনাল ইকো পার্ক।
ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স এর পক্ষে টিটু তালুকদার জানান, ৩ বছর মেয়াদী চুক্তিতে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা প্রাক্কলন মূল্যে সেতুটির ইজারা নেয়া হয়েছে। এই সাড়ে ৭ কোটি টাকা এবং শ্রমিকদের বেতনসহ ৯ কোটি টাকারও বেশি টাকা খরচ হবে। কিন্তু ২৫ মার্চ থেকে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকায় গাড়ি খুবই কম চলাচল করছে। যার ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে শতকরা ২০ভাগ টোল আদায় হচ্ছে। প্রতিদিন যে পরিমাণে টোল আদায় হয় তা থেকে কর্মচারীদের বেতন দেয়াও সম্ভব হয় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তারও কোন সীমা নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
Leave a Reply