সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: মহামারি আকার ধারণ করেছে ধর্ষণ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে শতাধিক। যা শুধু আলোচনায় এসেছে। এর বাইরে তো রয়েছে অনেক। লোক-লজ্জা বা সম্মানের ভয়ে প্রকাশ করেনি ভুক্তভোগীরা। আইনবিদরা বলছেন, এ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মামলার সঠিক তদন্ত ও আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন। সমাজবিজ্ঞানীরা বর্তমান সময়ে এ ধর্ষণকে ব্যাধি হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। আর এ ব্যাধির জন্য দায়ী করেছেন পরিবার, সমাজ ও পারিপার্শ্বিক অবক্ষয়কে।সাম্প্রতিক সময়ে ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির নির্মম ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছে। সব মহল থেকে জানানো হচ্ছে ধিক্কার ও প্রতিবাদ।
এর আগে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের একটি গ্রামে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। এ সময় কেন্দ্রে থাকা আওয়ামী লীগের কয়েকজন যুবক তাঁকে তাঁদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তাতে রাজি না হলে যুবকেরা তাঁকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। ওই দিন রাত ১২টার দিকে সালাউদ্দিন, সোহেল, বেচু, মোশারফসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল যুবক ঘরে ঢুকে প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে মারধর করে। পরে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ঘরের বাইরে পুকুরপাড়ে এনে গণধর্ষণ করেন।
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ঘটনার দিন বিকেলে শিশুটির মা পাংশা থানায় মামলা করেন। এর আগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশে দেন স্থানীয় লোকজন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি তার আরও এক বোনসহ দাদা-দাদির সঙ্গে থাকে। একমাত্র ভাই তার মা-বাবার সঙ্গে কুষ্টিয়ায় থাকে। বাবা একটি হোটেলে ও মা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। শিশুটির বাবা তাঁর দুই মেয়েকে দেখভালের জন্য প্রায়ই পাংশায় আসেন। মেয়েদের দেখভালের জন্য ওইদিন বিকেলে বাবা গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরদিন সকালে বাড়িতে শিশুটি ঘর গোছানোর কাজ করছিল। এ সময় বাবা শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় শিশুটির বাবা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে আটক করে শিশুটির মাকে খবর দেয়া হয়। স্থানীয় লোকজন শিশুটির বাবাকে মারধরের পর পুলিশে খবর দেন।
সম্প্রতি রাজধানীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ধর্ষণের ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৯শে জানুয়ারি একটি সংবাদপত্র অপরাধের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেই চিত্র রীতিমতো ভয়াবহ। পত্রিকাটি বলছে, গত পাঁচ বছর সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৯ হাজার। গড়ে প্রতিদিন ১১টি। এ ক্ষেত্রে শিশুরাই ধর্ষণ ও হত্যার শিকার বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ জন নারী ও শিশু।
চলতি বছরের প্রথম ১৮ দিনে একটি সংবাদ মাধ্যমে ২৩টি ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনই শিশু-কিশোরী। এর মধ্যে দুই বছরের শিশুও আছে। চারজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আরেকজন ধর্ষণের পর অসুস্থ হয়ে মারা গেছে।
চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে সারা দেশে ৪৭ শিশু ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। ১৭ এপ্রিল বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ছয়টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানায়, এই ১৫ দিনে সারা দেশে ৪৭ শিশু ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার মেয়ে শিশুর সংখ্যা ৩৯ জন। বিভিন্ন কারণে হত্যা করা হয়েছে ৫ শিশুকে, যার মধ্যে ৪ জন ছেলে ও ১ জন মেয়েশিশু।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বলেছে, বিচারহীনতার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিও করেছে সংস্থাটি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সারা দেশে প্রায় ১২৩ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে চলতি বছর শুধু জানুয়ারি মাসে দেশে ৫২টি ধর্ষণ, ২২টি গণধর্ষণ এবং ৫টি ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি আরও জানায় ২০১৮ সালে ৯৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সারা দেশে।
এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ও আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হোক এটাতো কেউ চায়না। আগে এই ধরনের ঘটনা খুব বেশি প্রকাশ পায়নি যেটা এখন অনেক বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। কাজেই এটা আমাদের দেশের এবং সাধারণ মানুষের জন্য খুবই একটি দুঃখজনক এবং ভীতিকর বিষয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে মামলার সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বিচার কার্য যেন অতি দ্রুত সম্পন্ন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রথমত, আদালত কর্তৃক খুব দ্রুত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যদি অপরাধীদেরকে দ্রুত ধরা হয় এবং তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় তাহলে হয়তো আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। বিচার শুরু হলে কোনো অবস্থাতেই যেন বিচারকার্য মুলতবি না হয়। অনেক সময় বিচার কার্য মুলতবি হয়ে যায়। ফলে বিচার বিলম্বিত হয়।
সাবেক আইজিপি সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি সময়ে যৌন হয়রানির অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে এবং প্রকাশ পাচ্ছে। যেগুলো খুবই দুঃখজনক ও ভয়ংকর। এই ধরনের অপরাধ দমনে জনসচেতনতামূলক কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। এলাকার জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করা যেতে পারে। আইনশৃঙ্খলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নজর দিতে হবে আইনের প্রয়োগটা যেন কঠিন এবং কঠোর হয়। অপরাধীরা যেন এই বার্তাটি পায় যে আমরা (প্রশাসন) আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করছি। এবং এ বিষয়ে আমরা সবাই যত্নবান। এটা হলে অপরাধীরা অপরাধ করার আগে অন্তত দশবার চিন্তা করবে। গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
পটুয়াখালীতে শিশু ধর্ষিত
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীতে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে। উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে গতকাল সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটি চর কুড়িপাইকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। ভিকটিমের মা জানান, গত বুধবার স্কুল বাড়ির কাছে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করছিল তার মেয়ে। এ সময় প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক আব্দুল হক ঘরামী (৬৫) চকলেট দেয়ার প্রলোভন দিয়ে শিশুটিকে লোহালিয়া নদীর কিনারে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কাদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে দাদির কাছে বিস্তারিত জানায়। পরে তাকে পটুয়াখালী মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার-পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এতে শিশুটি সুস্থ হয়ে না উঠলে পুলিশের শরণাপন্ন হয়। পটুয়াখালী সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে মেডিকেল টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি মামলা রজুর প্রস্তুতি চলছে।
আড়াইহাজারে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, আড়াইহাজারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে ধর্ষিতার ভাই ফুল মিয়া বাদী হয়ে ওই এলাকার সাজন মিয়ার ছেলে জুয়েল ও তার সহযোগী নায়েব আলীর ছেলে জালালকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ১৬ই এপ্রিল রাতে কিশোরীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। স্থানীয় কালাপাহাড়িয়ার বিবিকান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষিতা মামলায় বাধা দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জুয়েলের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই জের ধরে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার দৈহিক সম্পর্ক হয়। ১৬ই এপ্রিল রাতে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধুর সহযোগিতায় তাকে ফের ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় সে। পরে বিয়ের চাপ দেওয়া হলে তাতে সে অস্বীকৃতি জানান। আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, দুই ব্যাক্তিকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
শিবচরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, শিবচরে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পারভেজ (২১) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত যুবকের সহযোগী দুই যুবক পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, দত্তপাড়ার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার তারা মুন্সীর ছেলে পারভেজ মুন্সির প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত ৫ই মার্চ মেয়েটিকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার মগড়া পুকুর পাড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আরো দুই সহযোগী মিলে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে তারা। এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করলে পারভেজ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ দীর্ঘদিন মোবাইল ট্র্যাকিংসহ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পারভেজের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন ও এসআই মাজেদ মন্ডলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের মূলহোতা পারভেজকে গ্রেপ্তার করে।
হালুয়াঘাটে শিশু ধর্ষণের শিকার! ধর্ষক আটক
হলুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, হালুয়াঘাটে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল থানায় মামলা করেছে ধর্ষিতার ফুফু ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মরাগাংকান্দায়। শিশুটির ফুফু জানান, শিশুর মা জন্মের চার মাস পর তাকে রেখে পালিয়ে যায়। তার বাবা ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করে। শিশুকাল থেকে তিনি লালন পালনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ঘটনার দিন কেউ বাড়িতে না থাকায় প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে নুরজামাল (১৮) তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বাড়িতে গিয়ে ধর্ষিতা তার ফুফুর কাছে ঘটনা জানায়। এরপর তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হালুয়াঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষককে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply