শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ চলচ্চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যাল থেকে তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে পরীমনি ও তাকে মুখোমুখি করে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙা-গড়া, ব্ল্যাকমেইলিংসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় চয়নিকা চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। অনেক আগে থেকেই তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কার্যালয় থেকে ফেরার পথে তাকে আটক করা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে নেয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার মডেল পিয়াসা, মৌ এবং পরীমণিসহ বেশ কয়েকজনকে ব্যবসায়ীদের ডিজে পার্টি এবং মাদকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিনেত্রী ও অভিনেতার সঙ্গে প্রেম করিয়ে দেওয়া, বিচ্ছেদে সহযোগিতা, মাদক সরবরাহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি।
চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের মাসি বলে সম্বোধন করে থাকেন দেশের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিভিন্ন সময় তাদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখাও গেছে। পরীমণির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় পাশে ছিলেন এই নারী নির্মাতা। কিন্তু বুধবার পরীমণির বাসায় র্যাবের অভিযান ও তাকে আটকের সময় পাশে ছিলেন না চয়নিকা চৌধুরী।
গত মাসে উত্তরা বোটক্লাব কাণ্ডে সর্বদা পাশে থেকে পরীমণিকে সাহস জুগিয়েছিলেন তার মাসি খ্যাত চয়নিকা চৌধুরী। কিন্তু বুধবার নিজের সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে তাকে পাশে পাননি এই চিত্রনায়িকা। প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালানোর পর পরীমণিকে আটক করে নিয়ে যায় র্যাব। ফেসবুক লাইভে এসে সাহায্যের আবেদন করলেও কেউ সাড়া দেয়নি।
বোটক্লাব কাণ্ডে সংবাদ সম্মেলনের সময় পরীর কাঁধে হাত দিয়ে বসে ছিলেন চয়নিকা। তার চেহারায় মলিনতা ফুটে উঠেছিলো। একটু পর পর টিস্যু দিয়ে নিজের চোখের পানি মুছেছেন এই নির্মাতা। সে সময় চয়নিকাকে নিজের মাসি বলে অভিহিত করেন পরী। চয়নিকাও পরীকে নিজের মেয়ের মতোই স্নেহ করেন। পরীর হয়ে তিনিও গণমাধ্যমে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন, অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছিলেন।
চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। সে সিনেমার নায়িকা পরীমনি।
Leave a Reply