'ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ' আসার আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে ডুবল রাঙ্গাবালী Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ‘ আসার আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে ডুবল রাঙ্গাবালী

‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ‘ আসার আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে ডুবল রাঙ্গাবালী

'ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ' আসার আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে ডুবল রাঙ্গাবালী




রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় তিন গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে আট গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নদ-নদীর পানি ৩-৪ ফুট বেড়ে ওইসব গ্রাম প্লাবিত হয়। মৎস্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মৎস্য চাষিদের দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

 

 

সংশ্লিষ্টরা জানায়, জোয়ারের পানির তোড়ে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়ারচর, চরবেষ্টিন ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এ ছাড়া চরমোন্তাজের চরআন্ডা, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চিনাবুনিয়া ও চরলতা গ্রামের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে। এতে আট গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

 

 

 

এদিকে, লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় ওইসব গ্রামের অসংখ্য পুকুর এবং ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য চাষিরা। এ ছাড়া গ্রামের বসত ঘরবাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জনজীবন হয় বিপর্যস্ত।

 

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতের জোয়ারেও ওইসব গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। জোয়ারের পানি বাড়লে ক্ষয়ক্ষতিও বাড়বে বলে ধারণা তাদের।

 

 

চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, ‘চরবেষ্টিন ও নয়ারচরের বেড়িবাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে পানি ঢুকেছে। চরআন্ডায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়েই পানি ঢুকে।’

 

 

চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে আমার পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।’

 

 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক বাবুল বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ১৩০টি ঘেরের মাছ ভেসে গিয়ে দুই কোটি দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানির তোড়ে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত হওয়া কয়েকটি এলাকায় আমি গিয়েছি। আরো খোঁজখবর নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD