শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
সুমন তালুকদার,স্টাফ রিপোর্টার॥ বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরে দুর্ধর্ষ এক গণ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত্র আড়াইটার সময় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ৩০ থেকে ৩৫ জনের সশস্ত্র একদল ডাকাত সদস্য নদীপথে স্পিড বোটে এসে বন্দরে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।
টরকী বন্দর এর ১৩ টি দোকানে ডাকাতি চালিয়ে আনুমানিক প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার মতো নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। দোকানের তালা কেটে ডাকাত দল সদস্যরা ভিতরে ঢুকে দোকানদার কর্মচারীদেরকে বেঁধে এই ডাকাতির ঘটনা চালায়। যে সমস্ত দোকানে লোকজন ছিল না সেই দোকানের তালা কেটে ভিতরে ঢুকে তছনছ করে হাতের কাছে টাকাপয়সা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলা যায়।
ডাকাতি চলাকালে বন্দরের ভেতর পাহারাদার সহ পথচারী যাকেই পেয়েছে তাদেরকে বেঁধে রেখেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ডাকাত দলের সদস্যদের কাছে বন্দুক পিস্তল বোমা এবং ধারালো অস্ত্র ছিল। প্রত্যক্ষদর্শিরা আরো জানায় ফিল্মি স্টাইলে সশস্ত্র ছিল ডাকাত দলের সদস্যরা।
আজ সকালে গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের সান্ত্বনা প্রদান করেন এবং এই ঘটনার তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।
এছাড়াও আজ সকালে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে এই বন্দর থেকে গৌরনদী মডেল থানার দূরত্ব দেড় কিলোমিটার আর এই বন্দরে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এরকম দুর্ধর্ষ ডাকাতি মেনে নিতে পারছেন না এই বন্দরের ব্যবসায়ী বৃন্দ।
এর আগেও কয়েক বছর পূর্বে টরকি বন্দর পুলিশ ক্যাম্পের সামনের একটি ঔষধের ফার্মেসিতে এরকম ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের সেই সময়ও তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এছাড়াও বন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইটিং এর ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পাহারাদার নেই। তবে এরকম ঘটনা এড়াতে এই বন্দরকে সিসিটিভির আওতায় আনার জন্য ব্যবসায়ীরা অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply