সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:পটুয়াখালীতে কেবিন না পাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌরুটে দুইটি লঞ্চ সুন্দরবন ও জামালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক কেরানিকে মারধোর করা হয়। এ ঘটনার ঢাকা-পটুয়াখালী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।রোববার দুপুরে পটুয়াখালী নৌবন্দর লঞ্চ টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনার রেশ ধরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অবরোধ ঘোষণা করে পটুয়াখালী নৌবন্দর টার্মিনাল ত্যাগ করে অন্য স্থানে নোঙ্গর করে রেখেছে।
এদিকে ঢাকা উদ্দেশে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অগনিত যাত্রী ঘাটে লঞ্চ না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান পৌর কাউন্সিলর এসএম ফারুক হোসেন।
সুন্দরবন লঞ্চ-৯ এর কেরানি মশিউর রহমান জানান, রোববার পটুয়াখালী নৌবন্দর টার্মিনালে পটুয়াখালী থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকাগামী সুন্দরবন-৯ ও জামাল-৫ লঞ্চ দুইটি নোঙ্গর করাছিল। দুপুর ২টার দিকে ১০-১৫ জন যুবক ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে লঞ্চের কেবিন বুকিং ইনচার্জ জাফর ভাইকে খোঁজ করেন।
তিনি বলেন, এসময় তারা লঞ্চে ঘোরাঘুরি করে পুনরায় আমার (মশিউরের) কাছে এসে কিছু না বুঝে ওঠার আগেই মারধোর করে। মারধোরের একপর্যায় লঞ্চের তৃতীয় তলা থকে দ্বিতীয় তলায় নামায়। পরে তারা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে সুন্দর ও জামাল লঞ্চের কেবিন রুমের গ্লাস ভাংচুর করে চলে যায়।
এদিকে হামলার ঘটনার পর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অবরোধ ঘোষণা করে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনাল ত্যাগ করে লঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। ফলে শিশু-নারীসহ অগনিত যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পরেছে।
পটুয়াখালী পৌর মেয়র মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমি কাউন্সিলর এসএম ফারুককে পাঠিয়েছি। যাতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা না হয়। আমি এখন ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
অপরদিকে সুন্দরবন লঞ্চের যাত্রী সাইফুল ইসলাম জানান, রোববার হামলার ঘটনায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দোষ রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত যাত্রীদের হয়রানী করে আসছে। যার ফলে যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করেছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার জানান, আমি হামলার ঘটনার আগে কেবিনের জন্য ঘাটে গিয়েছি এবং কেবিন পেয়েছি। সে ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ কেন হামলা করবে। হামলার ঘটনায় আমি দুঃখিত।
ঘটনার সময় লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক দোলোয়ার হোসেন হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হামলার সময় ছাত্রলীগ নেতা হাসান সিকদার আমার পাশেই দাড়ানো ছিল। হয়তো অতিউৎসাহী হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা এটা করেছে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মাইনুল হাসান জানান, যাত্রীদের লঞ্চ কর্তৃপক্ষের একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঝামেলা হয়েছে। তবে যাত্রীদের দুভোর্গের কথা ভেবে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এদিকে সর্বশেষ ৫টার দিকে সুন্দরবন-৯ এর কেরানি মশিউরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুইটি লঞ্চই লোহালিয়া নদীর অপরপাশে নোঙ্গর করা রয়েছে। ঢাকা যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
Leave a Reply