সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি॥ ও স্যার, ঘরের মধ্যে জোয়ারের পানিতে তলাইয়া রইছে। তিন দিন ধইর্যা রান্দাবারা কাম বন্ধ। চুলা তলাইয়া রইছে বইন্যার পানিতে। কাইল খাইছি খিচুরি, আইজ খামু কি? ঘরে স্বামী প্যারালাইসে বিছানায় পইর্যা আছে। রাইত হইলে নাতিডারে কোলে লইয়া বইয়া থাহি। জোয়ারের পানি নামলে মোরা ঘুমাই।
ঘূর্ণিঝড় যশ’র প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউপির বঙ্গবন্ধু কলোনির পানিবন্দি মরিয়ম বেগম (অঞ্চলিক ভাষায়) এমন করেই দুর্দশার কথা বলছিলেন। এমন করুণ চিত্র কলোনির বসবাসরত ১৯৬টি পরিবারের।
উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বিভাগ সূত্র বলছে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় যশ ও পূর্ণিমার প্রভাবে নতুন করে নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ’র আটটি পয়েন্টে দীর্ঘ ৫১৫ কিলোমিটার ভেঙে গেছে। ফলে ১২টি ইউনিয়নের ৭৬টি গ্রামের ১৪ হাজার ৭১০টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এসব পানিবন্দি পরিবারের বাড়ি-ঘর জোয়ারের সময় কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে থাকে, ভাটার টানে পানি কমতে দুই দফা জোয়ারে আবার তলিয়ে যায়। এভাবেই গত তিনদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।
টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু জানান, বঙ্গবন্ধু কলোনির বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে পানি প্রবেশের ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়া ১৯৬টি পরিবারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এক বেলা রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে শুকনো খাবারের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। উপজেলায় শিশু ও গো-খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে আরো আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply