বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাই, শাশুরীর অনৈতিক সম্পর্ক ও কোটি টাকা আত্মসাতের প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী মো: ইব্রাহিম হাওলাদার। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কলাপাড়ায় কর্মরত প্রিন্ট, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ইব্রাহিম বলেন, ’পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ২০০৮ সালে নির্মান শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়া যাই।
এরআগে ২০০২ সালে পারিবারিক সিদ্ধান্তে ধূলাসার ইউনিয়নের বেতকাটা গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলাম নেগাবান এর মেয়ে মোসাঃ হাওয়া বেগমকে বিয়ে করি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ কন্যা ইয়াসমিন (১৭), ইমা (১২) ও আশা (৬) এবং এক ছেলে মোঃ তালহা (৪) জন্মগ্রহণ করে।
প্রবাস জীবনে কঠোর পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাই। অথচ আমার প্রেরিত সমুদয় টাকা আমার স্ত্রী ও নিজ মেয়ের জামাই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে আত্মসাৎ করায় আজ আমি নি:স্ব, সর্বশান্ত হয়ে পথে পথে ঘুরছি।’
ইব্রাহিম আরও বলেন,’আমি আইনী সহায়তা পেতে ৮ আগষ্ট ২০২০ মহিপুর ওসি’র স্বরনাপন্ন হই। তাকে সব খুলে বলি এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রমাণাদি প্রদর্শন করি।
কিন্তু ওসি মনিরুজ্জামান আমার ফোন নিয়ে সকল তথ্য প্রমাণাদি অন্যায়ভাবে মুছে দেয়, যাতে আমি আইনী সহায়তা নিতে না পারি।
তিনি (ওসি) আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ গ্রেফতারের ভয় দেখায়। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করায় তিনি ৮ আগষ্ট ২০২০ তারিখে ২৩২ নং জিডি রেকর্ড করেন। থানা থেকে ফিরে জানতে পারি ওসি সাহেব জামাই-শাশুরীর অনৈতিক সম্পর্কের এ বিষয়টি পূর্বেই জ্ঞাত।
এমনকি তিনি বিভিন্ন সময় তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের ভয় দেখিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে। এমনকি স্ত্রীকে দেয়া একটি এ্যান্ড্রয়েড স্যামসাং মোবাইল সেট অদ্যবধি ওসি তার হেফাজতে রেখেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ইব্রাহিম বলেন, ’আমি বিদেশে থাকাকালীন জানতে পারি আমার স্ত্রী আমার কম বুদ্ধি সম্পন্ন নাবালিকা মেয়ে ইয়াসমিনকে লতাচাপলী ইউনিয়নের খাঁজুরা গ্রামের তোফাজ্জেল জোমাদ্দারের পুত্র রবিউল (২৪) এর সাথে রেজিস্ট্রী কাবিন ছাড়াই বিয়ে দেয়। রবিউল তার পূর্ব পরিচিত এবং তার সাথে আমার স্ত্রীর গোপন সখ্যতা থাকায় আমার পরিবারের কোন আপত্তি সে শোনেনি।
আমি আরও জানতে পারি আমার স্ত্রী তুচ্ছ কারণে সন্তানদের সহ আমার ৮০ বছরের বৃদ্ধ বাবাকে শারিরীক, মানসিক নির্যাতন করছে, এসব শুনে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। তবুও সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে তাকে সংশোধনের সুযোগ দেই। কিন্তু তারা কেউ সংশোধন হয়নি। বরং কম বুদ্ধি সম্পন্ন মেয়ে ইয়াসমিনকে তাদের অনৈতিক সম্পর্কে সম্মত থাকতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাধ্য করছে। এমনকি জামাই শাশুরী পরস্পর যোগসাজশে ইয়াসমিন’র গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছে।
ইব্রাহিম বলেন, ’ আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার জীবনের বাস্তব গল্প দেশবাসীকে জানাতে চাই। যাতে আর কোন প্রবাসী নাগরিক আমার মত এরকম সর্বস্ব হারিয়ে মানসিক যন্ত্রণায় না ভোগে।
এর আগে ১২ আগষ্ট ২০২০ বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জঘন্য এ জামাই, শাশুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি এবং সমন দিয়ে আদালতে তলব করেন। পরবর্তীতে ১৩ আগষ্ট আলোচিত শাশুরী হাওয়া বেগম ৪ সন্তানকে নিয়ে আদালতে হাজির হলে আদালতের অনুকম্পায় সে জামিন লাভ করেন। তবে আলোচিত জামাই রবিউল পলাতক রয়েছেন।
Leave a Reply