বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ॥ গরু চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে কলাপাড়ায় কৃষকের মধ্যে । এমন কোন সপ্তাহ নেই কারও না কারও গবাদিপশু চোরের দল নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা এ কারণে এখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছ্।ে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় চেয়ারম্যানরা অবগত করেছেন। কিন্তু এর উত্তরন ঘটেনি। হালের বলদসহ দুধেল গাই চুরিতে বহু কৃষক সর্বশান্ত হয়ে গেছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার চরনিশানবাড়িয়ার কৃষাণী খাদিজা বেগম কলাপাড়া থানায় একটি জিডি করেছেন। খাদিজা জানান, চারদিন আগে বটতলা থেকে তার চারটি দুধেল গাই চোরের দল নিয়ে গেছে।
প্রায় দুই লাখ টাকার পুঁজি হারানোর পাশাপাশি দুধ সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেছে। খাদিজা বেগম এখন উপার্জনের সম্বল হারিয়ে দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন। ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার জানান, কিছুদিন আগে মোল্লাবাড়ির একটি বড় গরু চুরি হয়েছে। গন্ডামারি গ্রামের আফজাল মিয়ার একটি গরু খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, গত তিন মাসে তার ইউনিয়ন থেকে শতাধিক গরু চুরি হয়েছে।
নৌপথে ট্রলার যোগে একটি চক্র গবাদি-পশু চুরি করছে। এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে স্থানীয় একটি চক্র জড়িত রয়েছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান, তার ইউনিয়নে গরু চুরি কমেছে। তবে বাড়ি-ঘরের মালামাল চুরির ঘটনা রয়েছে। ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সিকদার জানান, ফি মাসেই গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এনিয়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলার সভায় কথা বলেছেন।
লালুয়ার চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ^াস জানান, তার ইউনিয়নে এখন গরু চুরি কমেছে। তবে চান্দুপাড়া এলাকায় কয়েকদিন আগে একটি চুরির ঘটনা ঘটছে। কৃষকের মাঝে গরু চুরি আতঙ্ক রয়েছে। বাইরের চোরের সঙ্গে নতুন একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল এখন গরু চুরির পরে জবাই করে মাংস বিক্রি করে দেয়। উপজেলার কলাপাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ও মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ জানান, গরু চুরির ঘটনা খুবই কম। তবে কেউ অভিযোগ দিলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
Leave a Reply