মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ॥ কুয়াকাটায় চলন্তবাসে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ০৮টার দিকে আলীপুর-কুয়াকাটা মহাসড়কে নিউ মায়ের দোয়া বাসের মধ্যে বাস শ্রামকিরা পর্যটকসহ যাত্রীদের উপর এ হামলা চালায়। এতে রতন নামের এক পর্যটকের কান ফেটে রক্তাক্ত জখম হয় ও শফিকুল ইসলাম নামের অপর এক পর্যটক আহত হয়। বাসের অন্য যাত্রীরা আহতদের উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
বাসের যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, চলন্ত বাসে ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডার জের ধরে বাসের চালক, সুপারভাইজর, হেল্পারসহ শ্রমিকরা পর্যটক রতন খান, নুর আলম, সুমন, মাঈনউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও অপর এক যাত্রী রহিমসহ একাধিক যাত্রীদের উপর রোলার দিয়ে হামলা ও বেধড়ক মারধর করেছে।
আহত পর্যটক রতন জানায়, চার বন্ধু ঢাকার মিরপুর থেকে লঞ্চযোগে কুয়াকাটায় রওয়ানা হন। শনিবার আমতলী লঞ্চঘাটে পৌছে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি বাসে ওঠেন। কুয়াকাটায় যাওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে ভাড়া নেয় বাসের সুপারভাইজার। কিন্তু বাসটি কলাপাড়ায় এসে পৌছলে ইঞ্জিন বিকলের কথা বলে তাদের নামিয়ে দেয়া হয়। পরে শেখ রাসেল সেতুর সংযোগ সড়কে অপেক্ষমান কুয়াকাটাগামী নিউ মায়ের দোয়া নামের একটি বাসে তাদের তুলে দেয়া হয়। এবং বলে দেয়া হয় তাদের আর ভাড়া দেয়া লাগবে না।
কিন্তু পথিমেধ্যে সুপারভাইজার ভাড়া চাইলে বাগবিতন্ডার এক পর্যায় হাতাহাতি হয়। পরে বাসের চালক, সুপার ভাইজরসহ হেল্পাররা কুয়াকাটা-কলাপাড়ায় থেকে অপর শ্রমিকদের খবর দিয়ে এনে বাসে থাকা ১৫/১৬ পর্যটকসহ সকল যাত্রীদের উপর রোলার দিয়ে হামলা চালায়।
এসময় কুয়াকাটার এক যুবক রহিমকেও মারধর লাঞ্ছিত করা হয়। বিষয়টি কুয়াকাটার সাধারণ মানুষ জানলে বাসটি ঘেরাও করে পাল্টা-হামলার প্রস্তুতি নেয়। এতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে মহিপুর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানান, এটি একটি সামান্য ঘটনা। এঘটনার মিমাংসা হয়ে গেছে। বাস মালিক রাজ্জাক চৌকিদার এসে আহত পর্যটকদের চিকিৎসা খরচ দিয়েছেন এবং শ্রমিকরা আহত পর্যটকদের কাছে মাফ চেয়েছে। বাসের ড্রাউভার, সুপার ভাইজার ও হেলপারকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে।
Leave a Reply