সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে ৩৭টি নৌ রুটে ঈদে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ লাখ যাত্রীর একমাত্র বাহন লঞ্চ। এর মধ্যে ঢাকা চাঁদপুর ও ঢাকা—বরিশাল রুটে বিলাশ বহুল ৮০ থেকে ৯০ টি লঞ্চ ঝুঁকি মুক্ত থাকলেও মতলব, ভেদরগঞ্জ, ডামুঢ্যা, মূলাদী, গৌরনদী, পাতারহাট, রাঙ্গাবালি, গোসাইর হাট, কালাইয়া, পটুয়াখালী মোড়লগঞ্জসহ ২৭টি নৌ রুটে এসব ফিটনেসবিহীন প্রায় ৭০টি লঞ্চ চলাচল করতে দেখা যায়।
লঞ্চ মালিক ও বিআইডাব্লিউটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ফিটনেসবিহীন প্রায় ৭০টি প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিতে চলাচল করছে এসব লঞ্চ। সাধারণত ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বাগেরহাট, শরিয়তপুর, মূলাদী, পাতার হাট, মাদারীপুর, ভান্ডারিয়াসহ দক্ষিণ অঞ্চলের ৩৭টি নৌরুটে ৯৫ থেকে ১১০টি লঞ্চ প্রতি দিন চলাচল করে।
রমজানের ঈদ ও কোরবানির ঈদ সহ বিশেষ সরকারি বন্ধের দিনগুলোতে যাত্রীদের চাহিদা পূরনে ১৪০ থেকে ১৬০টি লঞ্চে প্রায় ৫০ লাখ থেকে ৭০ লাখ যাত্রী লঞ্চ যোগে ঈদ মৌসুমে যাতায়াত করে থাকে। আর বাড়তি যাত্রীদের চাপ কমাতে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হন এসব ফিটনেস বিহীন লঞ্চে। শুক্রবার ও শনিবার ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা রহমান ডকইয়ার্ড, বেবী শাহেব ডাকইয়ার্ড সহ ছোট বড় ৩০টি ডাকইয়ার্ড গিয়ে দেখা গেলো ফিটনেস বিহীন প্রায় ৭০টির মতো লঞ্চকে জোড়া তালি দিয়ে কেবিন বাড়ানো, আসন সংখ্যা সহ যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে নতুন রূপে সাজ সজ্জার কাজ চলছে এসব ফিটনেস বিহীন লঞ্চ।
ডকইয়ার্ডের শ্রমিক ও মিস্ত্রীরা রাত দিন এসব লঞ্চের মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে এসব লঞ্চ মালিকরা দাবি করছে তাদের লঞ্চগুলি ফিটনেস সহ যাবতীয় সনদ সঠিক আছে। তারা যাত্রীদের আকর্ষণ করতে নতুন করে মেরামত সহ নতুন রঙ্গে সাজ সজ্জা করিয়ে থাকেন। যাতে যাত্রীরা আকৃষ্ট হয়। তবে লঞ্চ মালিকরা নিজেদের পক্ষে যতই সাফাই করুক না কেন তাদের টার্গেট ঈদ মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি টাকা আয় করা।
আর লঞ্চ মালিকদের এই সুযোগে প্রতি বছর অনেক দূর্ঘটনা, অনেক লঞ্চ যাত্রী হতাহতের স্বীকার হচ্ছে। তবুও বিআইডাব্লিউটিএর কর্মকর্তারা ফিটনেস বিহীন এসব লঞ্চ চলাচল বন্ধ না করে বরং চলাচলের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন।
এ ব্যাপারে বিআইডাব্লিউটিএর ঢাকা নদী বন্দর যুগ্ম সচিব একেএম আরিফ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তারা এবার কোনো ফিটনেস বিহীন লঞ্চ ঈদ বহরে যোগ হতে দিবে না এবং কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সে জন্য ঢাকা সদর ঘাট, চাঁদপুর, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন লঞ্চ টার্মিনাল গুলোতে বিআইডাব্লিউটিএর কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের বিশেষ টিম ২ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত টার্মিনালগুলোতে মনিটরিং সহ কঠোর অবস্থানে থাকবেন।
Leave a Reply