শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
অনলাই ডেস্ক:ডাকবাংলোয় আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সোয়া ১টার দিকে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাত নম্বর আদালতে তাদের হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে পাঠানো দু’জন হলেন এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাটুরিয়া থানায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তার আগে দু’জনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তখন দুই কর্মকর্তাকেই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দিকীর সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গতকাল সোমবার রাতেই ভুক্তভোগী ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. লুৎফর রহমান।
ভুক্তভোগী তরুণীর করা মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গেল বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী তরুণী খালার সঙ্গে সাটুরিয়া থানায় পাওনা টাকা আনতে যান। থানায় যাওয়ার পর সেকেন্দার তাদেরকে থানার পাশে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে বসে পাওনা টাকার বিষয়ে কথাবার্তা বলার সময় এএসআই মাজহারুল সেখানে উপস্থিত হন। এরপর ওই নারীকে কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। আর তরুণীকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে ওই কর্মকর্তারা ইয়াবা ট্যাবলেট সেবনে বাধ্য করান। ইয়াবা সেবনের পর তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এরপর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ওই কক্ষে আটকে রেখে দুই কর্মকর্তা তরুণীকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনূল ইসলাম বলেন, মামলা দায়ের করার পর সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম কে গ্রেফতার করা হয়। রাতে গ্রফতার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। পরে মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
Leave a Reply