মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ আসন্ন ইদুল আজহা উপলক্ষে সক্রিয় রয়েছে মাদক কারবারিরা। নিত্য নতুন কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের ব্যবসা।
কৌশল হিসেবে অন্য নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম ব্যবহার করে যোগাযোগ, শিশু ও মহিলাদের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও কাঁচামাল (তরকারি) বিক্রির ভ্যানগাড়ির মাধ্যমেও মাদক আদান প্রদানের কৌশল সম্পর্কে জানা-গেছে।
অনুসন্ধান ও স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষি ভাণ্ডার খ্যাত কির্ত্তীপাশা থেকে ভ্যানগাড়িতে করে কাঁচামাল (তরকারি) ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে শহরে বিক্রি করে থাকেন।
সেই ভ্যানগাড়ির চালক ২ জনের কাছে কির্ত্তীপাশা থেকে কখনও শিশু আবার কখনও মহিলাদের মাধ্যমে মাদক পৌঁছানো হয়।
ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি লিটন বৌদ্ধ ওরফে লিটু (৩৫) ঢাকায় বসে এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। লিটন বৌদ্ধ পুলিশের তালিকাভুক্ত একাধিক মাদক মামলার আসামি হওয়ায় সে নিজের নামে সিমের রেজিস্ট্রেশন না করে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে। বর্তমানে লিটন বৌদ্ধ ০১৬৫০২০১০৩৫, ০১৯১৫১১০২১১ ও ০১৭১৮৫০৭৩০৬ নম্বর ব্যবহার করছে। যা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টির বাইরে।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, “গত ০৩ জুন রাত পৌনে ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কির্ত্তীপাশা খালের উত্তর পাশ থেকে মাদক (ইয়াবা) বিক্রির সময় ৩০হাজার টাকা মূল্যের ১শ পিচ ইয়াবাসহ পলাশ মজুমদার (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ঝালকাঠি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
এসময় পলাশ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত ১শ পিচ ইয়াবা লিটন বৌদ্ধ’র কাছ থেকে কিনেছিলো বলে স্বীকার করে।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।” এ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি পলাশ মজুমদারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করলেও লিটন বৌদ্ধ ওরফে লিটু পলাতক রয়েছে।
পলাতক লিটন বৌদ্ধ এলাকায় না আসলেও তিনি বিভিন্ন কৌশলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে মাদক (ইয়াবা) বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঝালকাঠি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) উপ-পরিদর্শক মো. টিপু সুলতান খান জানান, একাধিক মাদক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি লিটন বৌদ্ধ ওরফে লিটুকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে শহরের শেখ মুজিব সড়কে চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে কাঁচামাল (তরকারি) বিক্রির ভ্যানগাড়ির মাধ্যমেও মাদক পৌঁছানো হচ্ছে। স্ত্রী ও মেয়েদের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছেও পৌঁছানো হচ্ছে ওই সড়কের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
Leave a Reply