ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ আলোচিত ‘বাবু খাইছো’ গানের শিরোনাম, কথা, সুর চুরি ও বিকৃত করার অভিযোগে হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস্‌ সামছ জগলুল হোসেন নতুন এ দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৬ ডিসেম্বর সোলস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য ও সংগীত পরিচালক মীর মাসুম হিরো আলমের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। এদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী মীর মাসুম বলেন, আমার সৃষ্টিকে চুরি ও বিকৃত হতে দেখলাম। আবার বিকৃত করে তা দিয়ে অর্থ উপার্জনও করছে হিরো আলম। এটাকে চুরি বলাও ঠিক হবে না, বরং এটি ডাকাতি। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা যেকোনো শিল্পীর জন্য অপমানজনক। আমি তারই বিচার চাই আইন ও রাষ্ট্রের কাছে। আশা করছি, সুবিচার পাবো।

হিরো আলম বলেন, ওরা যে গানটি ছেড়েছে তা নিয়েই প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। ওটা কোনো গানের ক্লাসের মধ্যেই পড়ে না। তারপরেও তারা গানটি করেছে। ‘বাবু খাইছো’ শব্দটা ফেসবুকে প্রচলিত শব্দ। সবাই বলে লেখে। ওরা গানের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে বলে ওদের হয়ে গেল? সবার আগে আমার কথা হলো আমি কোনো গায়ক না, আমি শখে গেয়েছি। এতে কারো ক্ষতি হবার কথা না।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে মুক্তি পায় একক নাটক ‘বাবু খাইছো?’। মুক্তির দুই মাসের মধ্যে নাটকটির ভিউ ১ কোটি ছাড়িয়েছে। মূলত এই নাটকের শিরোনাম সংগীত তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। ‘বাবু খাইছো’ শিরোনামের গানটির কথা ও কণ্ঠ দেন মীর মারুফ। এদিকে এই গানের সূত্র ধরে হিরো আলমও একটি গান গেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ জুলাই শুটিংয়ে টাকা না দিয়ে মারধর করার অভিযোগে হিরো আলমের বিরুদ্ধে নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। এসময় আদালত মামলাটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।